সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম

আজিজ আহম্মেদ কলেজের অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষের বিরুদ্ধে নোটিশ..

জালাল আহমেদ / ৩১৪ Time View
Update : শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

পটুয়াখালীর আজিজ আহম্মেদ কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আহসানুল হক ( ইনডেক্স: ৩০৭৯৭০৮) জাল জালিয়াতির মধ্যমে প্রভাষক( রসায়ন) থেকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নিয়েছেন এবং একই কলেজের মোঃ এবাদুল হক ( ইনডেক্স: ৩০৭৯৭১৫) প্রভাষক( ব্যবস্থাপনা) অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ও সরকারী অর্থ আত্মসাত করেছেন মর্মে তাদের এমপিও কেন বাতিল করা হবেনা পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কারন দর্শানোর জন্য এবং একই বিষয়ে একই সময়ের মধ্যে মতামত প্রদানের জন্য কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ( কলেজ-৩) তপন কুমার দাস। যার পত্র স্মারক নং: ৭ জি-১৫৪( ক-৩)২০১০/৫৯৪২/৫, তারিখ: ০৩.১২.২০২৩ ইং।

উক্ত পত্র সূত্রে জানাযায় , আজিজ আহম্মেদ কলেজেের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য মুরাদিয়ার বাসিন্দা মোঃ জসিম উদ্দিনসহ একাধিক ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পৃথক দু‘টি তদন্ত কমিটি গঠন করে। গঠিত তদন্ত কমিটির দাখিলকৃত সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদনে অধ্যক্ষ আহসানুল হক ও প্রভাষক এবাদুল হকের নিয়োগ অবৈধ উল্লেখ করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করা হয়। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অধ্যক্ষ আহসানুল হকের নৈতিক স্খলন, শিক্ষকদের সাথে স্বেচ্ছাচারিতা এবং অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের সময় পদবী ও অভিজ্ঞতা গোপন রেখে নিয়োগ লাভ করায় তাঁর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক বিভাগীয় শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে কলেজ গভর্নিংবডির সভাপতিকে অনুরোধ জানিয়েছেন। অপরদিকে গত বছরের ২৩ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক তপন কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অধ্যক্ষ আহসানুল হকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এবং কলেজের ব্যবস্থাপনা বিষয়ের প্রভাষক মোঃ এবাদুল হকের অবৈধ নিয়োগ বিষয়ে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা ও মতামত দিতে নির্দেশ দেন।

পটুয়াখালীর মুরাদিয়া আজিজ আহম্মেদ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আহসানুল হকের বিধি বহির্ভূত নিয়োগে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের আদেশ হিমাগারে রেখে তিনি এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। অপরদিকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ের সিনিয়র প্রভাষক এবাদুল হকের চাকুরীর বৈধতা প্রশ্নের সমাধান দিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশও উপেক্ষা করা হয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষা অধিদপ্তর ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথক দুটি তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের নিয়োগ অবৈধ উল্লেখ করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে কলেজ গভর্নিংবডিকে আদেশ দিলেও গত দেড় বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

অভিযোগ উঠেছে, কলেজ গভর্নিংবডির সভাপতি ও অধ্যক্ষ এক হয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ বাস্তবায়ন না করে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে সময় ক্ষেপন করে চলেছে।
এদিকে গভর্নিংবডির সভাপতি, অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে কলেজের সুনাম নষ্টের দায়ে প্রভাষক শিলা হালদারকে চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করলেও ঘটনার সাথে জড়িত দুষ্ট অধ্যক্ষ আহসানুল হকের বিরুদ্ধে গত একবছরেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

সুচতুর অধ্যক্ষ আহসানুল হক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে স্ব-পদে বহল থেকে পূর্ববত:স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি ওই কলেজের প্রভাষক ফরিদ আহম্মেদ‘র এ সংক্রান্তে দুমকি থানায় দায়ের করা একটি সাধারণ ডায়েরিতে অধ্যক্ষ আহসানুল হকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত জাল-জালিয়াতির ও দুর্নীতির তথ্য সার্বিক তদন্তে প্রমানিত হয়।

এ ছাড়া একটি যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলায় টানা দেড়মাসসহ একাধিকবার জেল হাজতবাসের কারণে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া একই কলেজের অর্থনীতি বিষয়ের প্রভাষক আল-আমীনের মামলা নিস্পত্তি হওয়ার আগেই বিধি বহির্ভূতভাবে বরখাস্তাদেশ প্রত্যাহার ও বেতন ভাতা প্রদান করারও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মাউশি অধিদপ্তরে অভিযোগ রয়েছে বলে মামলার বাদী জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর