ঢাকা ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পূর্বের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবার দায়িত্বে থাকছেন না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারুণ্যের অঙ্গীকারে প্রবাসী নেতৃত্ব—জাপান কানসাই ইউনিট জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত নরসিংদীর আশিক খন্দকার বিমানবন্দরে সোহেল তাজের বিদেশযাত্রায় বাধা শ্যামনগরের ৭০ মণ্ডপে তারেক রহমানের আর্থিক উপহার নির্বাচন নিয়ে ‘নীলনকশা’ হলে জনগণ ছেড়ে দেবে না লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে

গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে : তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 118

তারেক রহমান (ফাইল ফটো)

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গুমের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ঘটনার অবসান ছাড়া মানবাধিকার রক্ষা করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার (২৬ মে) ‘গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহ’ উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, “প্রতি বছরের মতো এবারও মে মাসের শেষ সপ্তাহে ‘গুম সপ্তাহ’ পালিত হচ্ছে—যেখানে আমরা স্মরণ করি তাদের, যারা গুমের শিকার হয়েছেন। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুম হয়েছেন অন্তত ৬৬৬ জন। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।”

তিনি জানান, “অনেক পরিবার এখনও নিখোঁজ স্বজনের খোঁজ পাচ্ছে না। কারো মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, কাউকে বহুদিন পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে—যা প্রমাণ করে এটি একটি পরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় দমননীতির অংশ। অধিকাংশ গুমের শিকারই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, তবে সাধারণ নাগরিক, ব্যবসায়ী ও বুদ্ধিজীবীরাও এ ঘটনার শিকার হয়েছেন।”

তারেক রহমান বলেন, “গুমের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো সাহস অনেক পরিবারই পায় না, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। ফলে রিপোর্ট করা ঘটনাগুলোর বাইরেও বহু অপ্রকাশিত গুমের ঘটনা রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সংবিধান অনুযায়ী, গুম একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। এই অমানবিক ও নৃশংস প্রক্রিয়া বন্ধ না হলে দেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখা সম্ভব নয়।”

বিবৃতির শেষাংশে তিনি বলেন, “গুম হওয়া মানুষের পরিবারের সঙ্গে আমি সংহতি প্রকাশ করছি। কোনো ব্যক্তি যেন আর গুমের শিকার না হন, সে জন্য রাষ্ট্রকে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। পাশাপাশি, গুমের মতো অপরাধ বন্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে

গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে : তারেক রহমান

আপডেট সময় : ০৮:৩৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

গুমের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ঘটনার অবসান ছাড়া মানবাধিকার রক্ষা করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার (২৬ মে) ‘গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহ’ উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, “প্রতি বছরের মতো এবারও মে মাসের শেষ সপ্তাহে ‘গুম সপ্তাহ’ পালিত হচ্ছে—যেখানে আমরা স্মরণ করি তাদের, যারা গুমের শিকার হয়েছেন। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুম হয়েছেন অন্তত ৬৬৬ জন। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।”

তিনি জানান, “অনেক পরিবার এখনও নিখোঁজ স্বজনের খোঁজ পাচ্ছে না। কারো মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, কাউকে বহুদিন পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে—যা প্রমাণ করে এটি একটি পরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় দমননীতির অংশ। অধিকাংশ গুমের শিকারই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, তবে সাধারণ নাগরিক, ব্যবসায়ী ও বুদ্ধিজীবীরাও এ ঘটনার শিকার হয়েছেন।”

তারেক রহমান বলেন, “গুমের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো সাহস অনেক পরিবারই পায় না, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। ফলে রিপোর্ট করা ঘটনাগুলোর বাইরেও বহু অপ্রকাশিত গুমের ঘটনা রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সংবিধান অনুযায়ী, গুম একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। এই অমানবিক ও নৃশংস প্রক্রিয়া বন্ধ না হলে দেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখা সম্ভব নয়।”

বিবৃতির শেষাংশে তিনি বলেন, “গুম হওয়া মানুষের পরিবারের সঙ্গে আমি সংহতি প্রকাশ করছি। কোনো ব্যক্তি যেন আর গুমের শিকার না হন, সে জন্য রাষ্ট্রকে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। পাশাপাশি, গুমের মতো অপরাধ বন্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”