উত্তরায় ফখরুল: চূড়ান্ত মুক্তি চাই

- আপডেট সময় : ১১:২৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
- / 108

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আমরা একটি ভয়ংকর ফ্যাসিবাদের হাত থেকে আপাতত মুক্তি পেয়েছি। তবে এই মুক্তি তখনই চূড়ান্ত হবে, যখন তাদেরকে আমরা রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করতে পারব।”
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর উত্তরা আজমপুরে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজিত এক স্মরণ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, “যারা লুটপাট, ব্যাংক ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও দখলবাজিতে জড়িত—তাদের সঙ্গে কোনো আপস হবে না। আমরা তাদের রাজনৈতিকভাবে মুছে ফেলব, কোনোভাবেই সামনে আসতে দেব না।”
তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়ার ওপর যে আস্থা জনগণ রেখেছে, ঠিক সেইভাবেই এখন তারা তারেক রহমানের ওপর আস্থা রাখছে। আমরা অপেক্ষায় আছি, তিনি কবে দেশে ফিরে আসবেন, নেতৃত্ব দেবেন। আমরা দোয়া করি, তিনি দ্রুত ফিরে এসে আমাদের ঐক্যবদ্ধ করবেন।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ‘ফার্মার্স কার্ড’, ‘স্বাস্থ্য কার্ড’, ‘ফ্যামিলি কার্ড’-সহ নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে, ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, গরিব মানুষও উন্নতির পথে এগোবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে।”

তিনি স্মরণ করেন, এক বছর আগে এই দিনে উত্তরা উত্তাল হয়েছিল। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের শেষ ধাপে শহীদ হওয়া শিক্ষার্থীদের পরিবারগুলোর কষ্টে বিএনপি গভীরভাবে সহমর্মী।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করায় তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করেন। বলেন, “আমেরিকার বাজারে আগে আমাদের পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক ছিল, এখন সেটা কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। এটা দেশের জন্য ভালো খবর। এজন্য আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।”
তবে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম, এক বছরের মধ্যে আমাদের শহীদদের একটি প্রকৃত তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। সরকার সে উদ্যোগ পুরোপুরি নিতে পারেনি, তবে চেষ্টা করছে।”
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “গতকাল সংস্কার কমিশনের বৈঠক হয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যে রিপোর্ট পাব। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা কথা দিয়েছেন—আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। এটাই আমরা চাই। দেশের মানুষও চায় একটি নির্বাচিত সরকার।”
তিনি বলেন, “আমার তো এখন যাওয়ার জায়গা নেই। কোনো এমপি নেই। যদি সমস্যায় পড়ি, পার্লামেন্টে আমার দাবি কে তুলবে? এজন্য দ্রুত নির্বাচন দরকার, পার্লামেন্ট দরকার, যেখানে আমরা আমাদের কথা বলতে পারব।”