ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পূর্বের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবার দায়িত্বে থাকছেন না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারুণ্যের অঙ্গীকারে প্রবাসী নেতৃত্ব—জাপান কানসাই ইউনিট জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত নরসিংদীর আশিক খন্দকার বিমানবন্দরে সোহেল তাজের বিদেশযাত্রায় বাধা শ্যামনগরের ৭০ মণ্ডপে তারেক রহমানের আর্থিক উপহার নির্বাচন নিয়ে ‘নীলনকশা’ হলে জনগণ ছেড়ে দেবে না লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

সাতক্ষীরায় ঘুমন্ত কন্যাসন্তানকে গলা কেটে হত্যা, মা গ্রেপ্তার

প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা
  • আপডেট সময় : ০৬:২৯:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / 204

সাতক্ষীরায় ঘুমন্ত কন্যাসন্তানকে গলা কেটে হত্যা, মা গ্রেপ্তার

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ঘুমন্ত শিশু কন্যাকে বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে আসমা খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বাটরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক মাকে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহতের নাম খাদিজা খাতুন (১)। তিনি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের মেয়ে। আসমা খাতুন কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের স্ত্রী ও বাটরা গ্রামের আব্দুল মাজেদের মেয়ে।

গ্রামের বাসিন্দা রেশমা খাতুন জানান, তার দুই ভাই মালয়েশিয়ায় থাকেন। ২০২১ সালের জুন মাসে তার বোন আসমার সঙ্গে কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের বিয়ে হয়। পরে আসমার গর্ভে তানভির হোসেন টাইগার ও খাদিজা খাতুন নামে দুটি সন্তান জন্ম নেয়। সম্প্রতি আসমা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এ কারণে তার মা আলেয়া খাতুন তাকে চিকিৎসার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে আসেন।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসমা তার মেয়ে খাদিজাকে ঘরের বারান্দায় রেখে ঘুম পাড়াচ্ছিলেন। এ সময় মা আলেয়া আসমাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে মোটরভ্যান আনতে যান। কিছুক্ষণ পর আসমা রান্নাঘর থেকে ধারালো বটি নিয়ে ঘুমন্ত খাদিজার গলা কেটে হত্যা করেন। স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

জালালাবাদ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোজাব্বার হোসেন জানান, আসমা মানসিক ভারসাম্য হারানোর কারণে এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডের পর আসমা সেখানে বসে ছিলেন।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে আসমা মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাতক্ষীরায় ঘুমন্ত কন্যাসন্তানকে গলা কেটে হত্যা, মা গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৬:২৯:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ঘুমন্ত শিশু কন্যাকে বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে আসমা খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বাটরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক মাকে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহতের নাম খাদিজা খাতুন (১)। তিনি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের মেয়ে। আসমা খাতুন কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের স্ত্রী ও বাটরা গ্রামের আব্দুল মাজেদের মেয়ে।

গ্রামের বাসিন্দা রেশমা খাতুন জানান, তার দুই ভাই মালয়েশিয়ায় থাকেন। ২০২১ সালের জুন মাসে তার বোন আসমার সঙ্গে কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের বিয়ে হয়। পরে আসমার গর্ভে তানভির হোসেন টাইগার ও খাদিজা খাতুন নামে দুটি সন্তান জন্ম নেয়। সম্প্রতি আসমা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এ কারণে তার মা আলেয়া খাতুন তাকে চিকিৎসার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে আসেন।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসমা তার মেয়ে খাদিজাকে ঘরের বারান্দায় রেখে ঘুম পাড়াচ্ছিলেন। এ সময় মা আলেয়া আসমাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে মোটরভ্যান আনতে যান। কিছুক্ষণ পর আসমা রান্নাঘর থেকে ধারালো বটি নিয়ে ঘুমন্ত খাদিজার গলা কেটে হত্যা করেন। স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

জালালাবাদ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোজাব্বার হোসেন জানান, আসমা মানসিক ভারসাম্য হারানোর কারণে এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডের পর আসমা সেখানে বসে ছিলেন।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে আসমা মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে।