ঢাকা ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পূর্বের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবার দায়িত্বে থাকছেন না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারুণ্যের অঙ্গীকারে প্রবাসী নেতৃত্ব—জাপান কানসাই ইউনিট জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত নরসিংদীর আশিক খন্দকার বিমানবন্দরে সোহেল তাজের বিদেশযাত্রায় বাধা শ্যামনগরের ৭০ মণ্ডপে তারেক রহমানের আর্থিক উপহার নির্বাচন নিয়ে ‘নীলনকশা’ হলে জনগণ ছেড়ে দেবে না লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

জামায়াতের নিবন্ধন বৈধ: ইসির সিদ্ধান্তে নির্ধারিত হবে প্রতীক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৭:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / 126

জামায়াত-দাঁড়িপাল্লা প্রতীক

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে দলটির রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বৈধতা ফিরে পেল।

রোববার (১ জুন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় দেন। জামায়াতের পক্ষে করা আপিল গ্রহণ করে আদালত রায় দিলে দীর্ঘদিন ধরে চলা আইনি লড়াইয়ে দলটি স্বস্তি ফিরে পায়।

তবে দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন (ইসি) নেবে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।

জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও মো. শিশির মনির। অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন জামায়াতকে সাময়িকভাবে নিবন্ধন দেয়। কিন্তু ২০০৯ সালে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে রিট করেন ২৫ জন, যাদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন ইসলামি দলের নেতা ও নাগরিক সমাজের সদস্যরা। এরপর দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে।

তবে জামায়াত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে, যা পরে কয়েক ধাপে শুনানির মধ্য দিয়ে এগোয়। মাঝে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের পক্ষে কেউ উপস্থিত না থাকায় আপিল বিভাগ আপিল খারিজ করে দেয়। পরে বিলম্ব মাফ করে আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন গ্রহণ করে শুনানি শুরু হয়।

এদিকে, ২০২৩ সালের ১ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতসহ কয়েকটি সংগঠন নিষিদ্ধ করে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় এবং জামায়াত পুনরায় সক্রিয়ভাবে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যায়।

রোববারের রায়ের মধ্য দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক বৈধতা ফিরলেও তাদের দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরে পাবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত এখন নির্বাচন কমিশনের ওপর নির্ভর করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জামায়াতের নিবন্ধন বৈধ: ইসির সিদ্ধান্তে নির্ধারিত হবে প্রতীক

আপডেট সময় : ১২:৫৭:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে দলটির রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বৈধতা ফিরে পেল।

রোববার (১ জুন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় দেন। জামায়াতের পক্ষে করা আপিল গ্রহণ করে আদালত রায় দিলে দীর্ঘদিন ধরে চলা আইনি লড়াইয়ে দলটি স্বস্তি ফিরে পায়।

তবে দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন (ইসি) নেবে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।

জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও মো. শিশির মনির। অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন জামায়াতকে সাময়িকভাবে নিবন্ধন দেয়। কিন্তু ২০০৯ সালে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে রিট করেন ২৫ জন, যাদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন ইসলামি দলের নেতা ও নাগরিক সমাজের সদস্যরা। এরপর দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে।

তবে জামায়াত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে, যা পরে কয়েক ধাপে শুনানির মধ্য দিয়ে এগোয়। মাঝে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের পক্ষে কেউ উপস্থিত না থাকায় আপিল বিভাগ আপিল খারিজ করে দেয়। পরে বিলম্ব মাফ করে আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন গ্রহণ করে শুনানি শুরু হয়।

এদিকে, ২০২৩ সালের ১ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতসহ কয়েকটি সংগঠন নিষিদ্ধ করে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় এবং জামায়াত পুনরায় সক্রিয়ভাবে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যায়।

রোববারের রায়ের মধ্য দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক বৈধতা ফিরলেও তাদের দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরে পাবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত এখন নির্বাচন কমিশনের ওপর নির্ভর করছে।