ঢাকা ১১:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পূর্বের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবার দায়িত্বে থাকছেন না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারুণ্যের অঙ্গীকারে প্রবাসী নেতৃত্ব—জাপান কানসাই ইউনিট জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত নরসিংদীর আশিক খন্দকার বিমানবন্দরে সোহেল তাজের বিদেশযাত্রায় বাধা শ্যামনগরের ৭০ মণ্ডপে তারেক রহমানের আর্থিক উপহার নির্বাচন নিয়ে ‘নীলনকশা’ হলে জনগণ ছেড়ে দেবে না লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

গোপালগঞ্জ: আসক বলছে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:০২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
  • / 95

আইন ও শালিস কেন্দ্র

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, হতাহতের ঘটনায় এটি ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন’ বলে মন্তব্য করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সংস্থাটির চার সদস্যের অনুসন্ধান দল ২১ ও ২২ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ২৫ জুলাই প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করে।

আসকের বিবৃতিতে জানানো হয়, সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগকে লক্ষ্য করে উসকানিমূলক বক্তব্যের পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয় এবং সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে গুলিতে নিহত হন দীপ্ত সাহা (২৫), রমজান কাজী (১৮), ইমন তালুকদার (১৭), সোহেল মোল্লা (৩২) এবং পরে হাসপাতালে মারা যান রমজান মুন্সী।

আহতদের মধ্যে অনেকে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না; কেউ কেউ কর্মস্থলে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি ছোড়ে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আসক এবং “নির্বিচারে গুলি” চালানোর অভিযোগ তুলে।

আসকের তথ্যমতে, ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অভিযোগ রয়েছে। পরে পুলিশ তিনটি মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। সংঘর্ষের পর ১৮ শিশুকে গ্রেপ্তারের তথ্য উঠে এসেছে, যাদের অনেকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আটক রয়েছেন।

আটটি মামলায় আসামির সংখ্যা ৫৪০০ জন, যার মধ্যে নামীয় আসামি ৩৫৮ জন। নারী ও সংখ্যালঘুদেরও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে আসক জানিয়েছে। একইসঙ্গে স্থানীয় দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

আসক আরও জানায়, সংঘর্ষের দিন কারাগারে হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে ‘৮০ রাউন্ড মিসফায়ার’ হয় এবং পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংস্থাটি ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছে এবং বলেছে, এমন সহিংসতা নাগরিকদের মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করে। তারা সরকারের কাছে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গোপালগঞ্জ: আসক বলছে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন

আপডেট সময় : ১০:০২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, হতাহতের ঘটনায় এটি ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন’ বলে মন্তব্য করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সংস্থাটির চার সদস্যের অনুসন্ধান দল ২১ ও ২২ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ২৫ জুলাই প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করে।

আসকের বিবৃতিতে জানানো হয়, সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগকে লক্ষ্য করে উসকানিমূলক বক্তব্যের পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয় এবং সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে গুলিতে নিহত হন দীপ্ত সাহা (২৫), রমজান কাজী (১৮), ইমন তালুকদার (১৭), সোহেল মোল্লা (৩২) এবং পরে হাসপাতালে মারা যান রমজান মুন্সী।

আহতদের মধ্যে অনেকে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না; কেউ কেউ কর্মস্থলে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি ছোড়ে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আসক এবং “নির্বিচারে গুলি” চালানোর অভিযোগ তুলে।

আসকের তথ্যমতে, ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অভিযোগ রয়েছে। পরে পুলিশ তিনটি মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। সংঘর্ষের পর ১৮ শিশুকে গ্রেপ্তারের তথ্য উঠে এসেছে, যাদের অনেকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আটক রয়েছেন।

আটটি মামলায় আসামির সংখ্যা ৫৪০০ জন, যার মধ্যে নামীয় আসামি ৩৫৮ জন। নারী ও সংখ্যালঘুদেরও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে আসক জানিয়েছে। একইসঙ্গে স্থানীয় দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

আসক আরও জানায়, সংঘর্ষের দিন কারাগারে হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে ‘৮০ রাউন্ড মিসফায়ার’ হয় এবং পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংস্থাটি ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছে এবং বলেছে, এমন সহিংসতা নাগরিকদের মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করে। তারা সরকারের কাছে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানায়।