ঢাকা ০৯:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পূর্বের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবার দায়িত্বে থাকছেন না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারুণ্যের অঙ্গীকারে প্রবাসী নেতৃত্ব—জাপান কানসাই ইউনিট জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত নরসিংদীর আশিক খন্দকার বিমানবন্দরে সোহেল তাজের বিদেশযাত্রায় বাধা শ্যামনগরের ৭০ মণ্ডপে তারেক রহমানের আর্থিক উপহার নির্বাচন নিয়ে ‘নীলনকশা’ হলে জনগণ ছেড়ে দেবে না লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় তিন পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:২৯:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / 126

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছাত্র আন্দোলনের সময় সাভারের আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর মরদেহ পোড়ানোর অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার হওয়া তিন কর্মকর্তা হলেন—ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম এবং সাবেক ডিবি পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।

মামলার পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।

এর আগে, চলতি বছরের ৮ এপ্রিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আসামিদের ১৫ এপ্রিল আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে তাদের হাজির করা হয়। এসময় চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন এবং বি এম সুলতান মাহমুদসহ অন্যান্য প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনার পটভূমিতে জানা যায়, গত বছর জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের সময় আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহগুলো পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ২৬ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “৫ আগস্ট রাতে আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর তাদের মরদেহ পুলিশের ভ্যানে তুলে আগুন দেওয়া হয়। আমরা নিশ্চিত হয়েছি, যাদের পুড়িয়ে মারা হয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্তত একজন তখনো জীবিত ছিলেন। সেই অবস্থায়ই তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগানো হয়।”

নৃশংস এ ঘটনায় দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি চলমান রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় তিন পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে

আপডেট সময় : ০২:২৯:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

ছাত্র আন্দোলনের সময় সাভারের আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর মরদেহ পোড়ানোর অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার হওয়া তিন কর্মকর্তা হলেন—ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম এবং সাবেক ডিবি পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।

মামলার পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।

এর আগে, চলতি বছরের ৮ এপ্রিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আসামিদের ১৫ এপ্রিল আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে তাদের হাজির করা হয়। এসময় চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন এবং বি এম সুলতান মাহমুদসহ অন্যান্য প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনার পটভূমিতে জানা যায়, গত বছর জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের সময় আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহগুলো পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ২৬ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “৫ আগস্ট রাতে আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর তাদের মরদেহ পুলিশের ভ্যানে তুলে আগুন দেওয়া হয়। আমরা নিশ্চিত হয়েছি, যাদের পুড়িয়ে মারা হয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্তত একজন তখনো জীবিত ছিলেন। সেই অবস্থায়ই তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগানো হয়।”

নৃশংস এ ঘটনায় দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি চলমান রয়েছে।