ঢাকা ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পূর্বের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবার দায়িত্বে থাকছেন না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারুণ্যের অঙ্গীকারে প্রবাসী নেতৃত্ব—জাপান কানসাই ইউনিট জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত নরসিংদীর আশিক খন্দকার বিমানবন্দরে সোহেল তাজের বিদেশযাত্রায় বাধা শ্যামনগরের ৭০ মণ্ডপে তারেক রহমানের আর্থিক উপহার নির্বাচন নিয়ে ‘নীলনকশা’ হলে জনগণ ছেড়ে দেবে না লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে হাসিনার দোসররা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • / 142

ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে হাসিনার দোসররা

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে তৈরি ফ্যাসিস্ট চরিত্রের মুখাকৃতি ভাস্কর্য আগুনে পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোররাতে কেউ বা কারা এই আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে সাময়িক বিঘ্ন ঘটলেও উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, তারা আরও জোরালোভাবে উৎসবের প্রস্তুতি চালিয়ে যাবেন।

ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “হাসিনার দোসররা গতকাল ভোররাতে চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে। এই দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে—সফট আওয়ামী লীগ হোক বা আওয়ামী লীগের বি-টিম—তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে, এবং দ্রুতই।”

ফারুকী আরও লিখেছেন, “পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা বন্ধ করতে যারা কাজ করছে, তারা আসলে ফ্যাসিবাদেরই পৃষ্ঠপোষক। আমরা শুধু তাদের বিচারের আওতায় আনবো না, আমরা নিশ্চিত করবো এবারের শোভাযাত্রা যেন আরও অর্থবহ, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়।”

তিনি বলেন, “গতরাতের ঘটনার মাধ্যমে হাসিনার দোসররা প্রমাণ করে দিয়েছে, তারা চায় না দেশের মানুষ এক হয়ে উৎসব পালন করুক। কিন্তু আমরা এখন আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা আরও বেশি মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবো।”

শোভাযাত্রায় বিতর্কিত মুখাকৃতি রাখা হবে কি না, তা নিয়ে কিছুদিন ধরেই নানা আলোচনা চলছিল। অনেকেই বলছিলেন এবারের আয়োজনটি আগের চেয়ে বেশি বৈচিত্র্যময় এবং অংশগ্রহণমূলক হতে যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে ফারুকী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মতামতের অপেক্ষায় আমরা ছিলাম। কিন্তু গত রাতের এই ন্যক্কারজনক হামলার পর স্পষ্ট হয়ে গেছে—এই দানবীয় মুখের প্রতীক এখন আরও বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।”

চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আয়োজকরা জানিয়েছেন, ভস্মীভূত ভাস্কর্য পুনরায় তৈরি করা হবে এবং পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রা পূর্বনির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।

সাম্প্রতিক এ ঘটনার পর অনেকেই একে ‘সাংস্কৃতিক হামলা’ হিসেবে অভিহিত করছেন এবং এর পেছনে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে হাসিনার দোসররা

আপডেট সময় : ১২:২৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে তৈরি ফ্যাসিস্ট চরিত্রের মুখাকৃতি ভাস্কর্য আগুনে পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোররাতে কেউ বা কারা এই আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে সাময়িক বিঘ্ন ঘটলেও উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, তারা আরও জোরালোভাবে উৎসবের প্রস্তুতি চালিয়ে যাবেন।

ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “হাসিনার দোসররা গতকাল ভোররাতে চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে। এই দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে—সফট আওয়ামী লীগ হোক বা আওয়ামী লীগের বি-টিম—তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে, এবং দ্রুতই।”

ফারুকী আরও লিখেছেন, “পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা বন্ধ করতে যারা কাজ করছে, তারা আসলে ফ্যাসিবাদেরই পৃষ্ঠপোষক। আমরা শুধু তাদের বিচারের আওতায় আনবো না, আমরা নিশ্চিত করবো এবারের শোভাযাত্রা যেন আরও অর্থবহ, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়।”

তিনি বলেন, “গতরাতের ঘটনার মাধ্যমে হাসিনার দোসররা প্রমাণ করে দিয়েছে, তারা চায় না দেশের মানুষ এক হয়ে উৎসব পালন করুক। কিন্তু আমরা এখন আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা আরও বেশি মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবো।”

শোভাযাত্রায় বিতর্কিত মুখাকৃতি রাখা হবে কি না, তা নিয়ে কিছুদিন ধরেই নানা আলোচনা চলছিল। অনেকেই বলছিলেন এবারের আয়োজনটি আগের চেয়ে বেশি বৈচিত্র্যময় এবং অংশগ্রহণমূলক হতে যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে ফারুকী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মতামতের অপেক্ষায় আমরা ছিলাম। কিন্তু গত রাতের এই ন্যক্কারজনক হামলার পর স্পষ্ট হয়ে গেছে—এই দানবীয় মুখের প্রতীক এখন আরও বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।”

চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আয়োজকরা জানিয়েছেন, ভস্মীভূত ভাস্কর্য পুনরায় তৈরি করা হবে এবং পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রা পূর্বনির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।

সাম্প্রতিক এ ঘটনার পর অনেকেই একে ‘সাংস্কৃতিক হামলা’ হিসেবে অভিহিত করছেন এবং এর পেছনে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।