ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পূর্বের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবার দায়িত্বে থাকছেন না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারুণ্যের অঙ্গীকারে প্রবাসী নেতৃত্ব—জাপান কানসাই ইউনিট জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত নরসিংদীর আশিক খন্দকার বিমানবন্দরে সোহেল তাজের বিদেশযাত্রায় বাধা শ্যামনগরের ৭০ মণ্ডপে তারেক রহমানের আর্থিক উপহার নির্বাচন নিয়ে ‘নীলনকশা’ হলে জনগণ ছেড়ে দেবে না লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

৭৭ রানে হার: একার লড়াইয়ে জাকের আলি

ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৪১:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / 104

৭৭ রানে হার: একার লড়াইয়ে জাকের আলির

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শুরুটা যেমন স্বস্তির, শেষটা ততটাই হতাশার। ২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১ উইকেটে ১০০ রান করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকেই মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারিয়ে লঙ্কান ঘূর্ণিতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ব্যাটিং লাইনআপ। শেষদিকে জাকের আলির হাফ সেঞ্চুরির লড়াইও হার এড়াতে পারেনি। হাসারাঙ্গার বলে এলবিডব্লু হয়ে যখন তিনি আউট হন, তখনই নিশ্চিত হয়ে যায় ৭৭ রানের পরাজয়।

এই হার দিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ

ওয়ানডে অভিষেক হওয়া পারভেজ হোসেন ও তানজিদ হাসান শুরুতে এনে দিয়েছিলেন ২৯ রানের জুটি। এরপর তানজিদের সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্ত গড়েন ৭১ রানের জুটি। তানজিদ হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৬১ বলে ৬২ রানের ইনিংসে।

কিন্তু নাজমুলের রান আউট হওয়ার পর শুরু হয় ধস। লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং এরপর একে একে সবাই সাজঘরে ফিরে যান মাত্র কয়েক ওভারের ব্যবধানে।

বাংলাদেশ ১০০ রানে ১ উইকেট হারানো থেকে ১০৫ রানে ৮ উইকেট হারানো— এমন দৃশ্য ওয়ানডে ক্রিকেটে বিরল। মাত্র ৫ রানে ৭ উইকেট হারানোর এই রেকর্ডের আগে সর্বনিম্ন ছিল ৮ রানে ৭ উইকেট (যুক্তরাষ্ট্র বনাম নেপাল, ২০২০)।

জাকের আলি এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে হাল ধরেছিলেন। হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। মোস্তাফিজকে সঙ্গী করে লড়াই চালালেও হাসারাঙ্গার বলেই তাঁর বিদায়ে থেমে যায় সব আশা।

এর আগে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে যায় ২৪৪ রানে। শুরুতে ২৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে থাকলেও চারিথ আসালাঙ্কার ১০৬ রানের ইনিংস লঙ্কানদের লড়াইয়ের পুঁজি দেয়।

তাসকিন আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের সেরা বোলার— ৪৭ রানে ৪ উইকেট। তানজিম সাকিব পান ৩ উইকেট। নাজমুল ও তানভীর পান একটি করে উইকেট। তবে বল হাতে মেহেদী মিরাজ উইকেটশূন্য।

ম্যাচ চলাকালীন বাংলাদেশ দলের জন্য আরেকটি দুঃসংবাদ— ইনজুরিতে পড়েন মোস্তাফিজ ও তানভীর। ফলে ইনিংসের শেষ কয়েক ওভার বল করার জন্য যথেষ্ট বিকল্প ছিল না।

তিন ম্যাচের সিরিজে এখন ১-০ তে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। পরবর্তী ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য টাইগারদের দরকার ব্যাটিং লাইনে স্থিরতা ও ইনজুরি সংকটের নিরসন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

৭৭ রানে হার: একার লড়াইয়ে জাকের আলি

আপডেট সময় : ১০:৪১:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

শুরুটা যেমন স্বস্তির, শেষটা ততটাই হতাশার। ২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১ উইকেটে ১০০ রান করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকেই মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারিয়ে লঙ্কান ঘূর্ণিতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ব্যাটিং লাইনআপ। শেষদিকে জাকের আলির হাফ সেঞ্চুরির লড়াইও হার এড়াতে পারেনি। হাসারাঙ্গার বলে এলবিডব্লু হয়ে যখন তিনি আউট হন, তখনই নিশ্চিত হয়ে যায় ৭৭ রানের পরাজয়।

এই হার দিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ

ওয়ানডে অভিষেক হওয়া পারভেজ হোসেন ও তানজিদ হাসান শুরুতে এনে দিয়েছিলেন ২৯ রানের জুটি। এরপর তানজিদের সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্ত গড়েন ৭১ রানের জুটি। তানজিদ হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৬১ বলে ৬২ রানের ইনিংসে।

কিন্তু নাজমুলের রান আউট হওয়ার পর শুরু হয় ধস। লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং এরপর একে একে সবাই সাজঘরে ফিরে যান মাত্র কয়েক ওভারের ব্যবধানে।

বাংলাদেশ ১০০ রানে ১ উইকেট হারানো থেকে ১০৫ রানে ৮ উইকেট হারানো— এমন দৃশ্য ওয়ানডে ক্রিকেটে বিরল। মাত্র ৫ রানে ৭ উইকেট হারানোর এই রেকর্ডের আগে সর্বনিম্ন ছিল ৮ রানে ৭ উইকেট (যুক্তরাষ্ট্র বনাম নেপাল, ২০২০)।

জাকের আলি এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে হাল ধরেছিলেন। হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। মোস্তাফিজকে সঙ্গী করে লড়াই চালালেও হাসারাঙ্গার বলেই তাঁর বিদায়ে থেমে যায় সব আশা।

এর আগে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে যায় ২৪৪ রানে। শুরুতে ২৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে থাকলেও চারিথ আসালাঙ্কার ১০৬ রানের ইনিংস লঙ্কানদের লড়াইয়ের পুঁজি দেয়।

তাসকিন আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের সেরা বোলার— ৪৭ রানে ৪ উইকেট। তানজিম সাকিব পান ৩ উইকেট। নাজমুল ও তানভীর পান একটি করে উইকেট। তবে বল হাতে মেহেদী মিরাজ উইকেটশূন্য।

ম্যাচ চলাকালীন বাংলাদেশ দলের জন্য আরেকটি দুঃসংবাদ— ইনজুরিতে পড়েন মোস্তাফিজ ও তানভীর। ফলে ইনিংসের শেষ কয়েক ওভার বল করার জন্য যথেষ্ট বিকল্প ছিল না।

তিন ম্যাচের সিরিজে এখন ১-০ তে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। পরবর্তী ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য টাইগারদের দরকার ব্যাটিং লাইনে স্থিরতা ও ইনজুরি সংকটের নিরসন।