শুরুটা যেমন স্বস্তির, শেষটা ততটাই হতাশার। ২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১ উইকেটে ১০০ রান করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকেই মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারিয়ে লঙ্কান ঘূর্ণিতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ব্যাটিং লাইনআপ। শেষদিকে জাকের আলির হাফ সেঞ্চুরির লড়াইও হার এড়াতে পারেনি। হাসারাঙ্গার বলে এলবিডব্লু হয়ে যখন তিনি আউট হন, তখনই নিশ্চিত হয়ে যায় ৭৭ রানের পরাজয়।
এই হার দিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ।
ওয়ানডে অভিষেক হওয়া পারভেজ হোসেন ও তানজিদ হাসান শুরুতে এনে দিয়েছিলেন ২৯ রানের জুটি। এরপর তানজিদের সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্ত গড়েন ৭১ রানের জুটি। তানজিদ হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৬১ বলে ৬২ রানের ইনিংসে।
কিন্তু নাজমুলের রান আউট হওয়ার পর শুরু হয় ধস। লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং এরপর একে একে সবাই সাজঘরে ফিরে যান মাত্র কয়েক ওভারের ব্যবধানে।
বাংলাদেশ ১০০ রানে ১ উইকেট হারানো থেকে ১০৫ রানে ৮ উইকেট হারানো— এমন দৃশ্য ওয়ানডে ক্রিকেটে বিরল। মাত্র ৫ রানে ৭ উইকেট হারানোর এই রেকর্ডের আগে সর্বনিম্ন ছিল ৮ রানে ৭ উইকেট (যুক্তরাষ্ট্র বনাম নেপাল, ২০২০)।
জাকের আলি এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে হাল ধরেছিলেন। হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। মোস্তাফিজকে সঙ্গী করে লড়াই চালালেও হাসারাঙ্গার বলেই তাঁর বিদায়ে থেমে যায় সব আশা।
এর আগে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে যায় ২৪৪ রানে। শুরুতে ২৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে থাকলেও চারিথ আসালাঙ্কার ১০৬ রানের ইনিংস লঙ্কানদের লড়াইয়ের পুঁজি দেয়।
তাসকিন আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের সেরা বোলার— ৪৭ রানে ৪ উইকেট। তানজিম সাকিব পান ৩ উইকেট। নাজমুল ও তানভীর পান একটি করে উইকেট। তবে বল হাতে মেহেদী মিরাজ উইকেটশূন্য।
ম্যাচ চলাকালীন বাংলাদেশ দলের জন্য আরেকটি দুঃসংবাদ— ইনজুরিতে পড়েন মোস্তাফিজ ও তানভীর। ফলে ইনিংসের শেষ কয়েক ওভার বল করার জন্য যথেষ্ট বিকল্প ছিল না।
তিন ম্যাচের সিরিজে এখন ১-০ তে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। পরবর্তী ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য টাইগারদের দরকার ব্যাটিং লাইনে স্থিরতা ও ইনজুরি সংকটের নিরসন।
প্রকাশক: মো. আরমান শরীফ
সম্পাদক: জিললুর রহমান চৌধুরী
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ মনিরুল ইসলাম
অফিস: বাসা: ২৭, রোড: ৭/ডি, সেক্টর :৯, উত্তরা মডেল টাউন
ই-মেইল: octopusy2816@gmail.com