ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পূর্বের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবার দায়িত্বে থাকছেন না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারুণ্যের অঙ্গীকারে প্রবাসী নেতৃত্ব—জাপান কানসাই ইউনিট জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত নরসিংদীর আশিক খন্দকার বিমানবন্দরে সোহেল তাজের বিদেশযাত্রায় বাধা শ্যামনগরের ৭০ মণ্ডপে তারেক রহমানের আর্থিক উপহার নির্বাচন নিয়ে ‘নীলনকশা’ হলে জনগণ ছেড়ে দেবে না লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

১১ দিনেও উদ্ধার হয়নি কর্ণফুলীতে ডুবে যাওয়া জাহাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৬:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
  • / 149

কর্ণফূলী নদী (ফাইল ছবি)

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনায় ডুবে যাওয়া একটি লাইটার জাহাজ এমভি সাবিত হোসেন ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো উদ্ধার করা যায়নি। নদীর প্রবেশ মুখে ডুবে থাকা এই জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলের জন্য বর্তমানে একটি বড় ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে। বন্দর চ্যানেলে চলাচলরত অন্য জাহাজগুলোও যে কোনো সময় এতে আটকে পড়তে পারে বা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঘটনাটি ঘটে ১৫ জুলাই দিবাগত রাত প্রায় দেড়টার দিকে। তখন চট্টগ্রাম বন্দরের ইনারবার বয়া নং ২ অতিক্রম করছিল এমভি সাবিত হোসেন। বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি লাইটার জাহাজ এমভি মার্শ শামিমা ধাক্কা দিলে সাবিত হোসেন ডুবে যায়। জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান ফরচুন নেভিগেশন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, ডুবে যাওয়া জাহাজটি দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার জন্য মালিকপক্ষকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তার ভাষায়, “চ্যানেলের স্বাভাবিক নৌচলাচল এখন এই জাহাজটির কারণে হুমকির মুখে।”

এমভি সাবিত হোসেন-এর তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ মহিন উদ্দিন দাবি করেছেন, দুর্ঘটনার সময় তারা নৌচলাচল বিধিমালা অনুযায়ী সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছিলেন। “আমরা সংকেত দিয়েও মার্শ শামিমাকে থামাতে পারিনি। ওরা বেপরোয়া গতিতে আমাদের জাহাজে ধাক্কা দেয় এবং দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে,” বলেন তিনি।

তিনি আরও জানান, এই সংঘর্ষে জাহাজটির সঙ্গে থাকা প্রায় ৪০ লাখ টাকার মালামালসহ ৬ কোটি টাকার সম্পূর্ণ লাইটার জাহাজটি ডুবে যায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। মামলায় এমভি মার্শ শামিমার মালিকপক্ষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

জাহাজটি উদ্ধারে এখনো কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

১১ দিনেও উদ্ধার হয়নি কর্ণফুলীতে ডুবে যাওয়া জাহাজ

আপডেট সময় : ০৯:৩৬:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনায় ডুবে যাওয়া একটি লাইটার জাহাজ এমভি সাবিত হোসেন ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো উদ্ধার করা যায়নি। নদীর প্রবেশ মুখে ডুবে থাকা এই জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলের জন্য বর্তমানে একটি বড় ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে। বন্দর চ্যানেলে চলাচলরত অন্য জাহাজগুলোও যে কোনো সময় এতে আটকে পড়তে পারে বা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঘটনাটি ঘটে ১৫ জুলাই দিবাগত রাত প্রায় দেড়টার দিকে। তখন চট্টগ্রাম বন্দরের ইনারবার বয়া নং ২ অতিক্রম করছিল এমভি সাবিত হোসেন। বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি লাইটার জাহাজ এমভি মার্শ শামিমা ধাক্কা দিলে সাবিত হোসেন ডুবে যায়। জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান ফরচুন নেভিগেশন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, ডুবে যাওয়া জাহাজটি দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার জন্য মালিকপক্ষকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তার ভাষায়, “চ্যানেলের স্বাভাবিক নৌচলাচল এখন এই জাহাজটির কারণে হুমকির মুখে।”

এমভি সাবিত হোসেন-এর তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ মহিন উদ্দিন দাবি করেছেন, দুর্ঘটনার সময় তারা নৌচলাচল বিধিমালা অনুযায়ী সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছিলেন। “আমরা সংকেত দিয়েও মার্শ শামিমাকে থামাতে পারিনি। ওরা বেপরোয়া গতিতে আমাদের জাহাজে ধাক্কা দেয় এবং দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে,” বলেন তিনি।

তিনি আরও জানান, এই সংঘর্ষে জাহাজটির সঙ্গে থাকা প্রায় ৪০ লাখ টাকার মালামালসহ ৬ কোটি টাকার সম্পূর্ণ লাইটার জাহাজটি ডুবে যায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। মামলায় এমভি মার্শ শামিমার মালিকপক্ষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

জাহাজটি উদ্ধারে এখনো কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।