ঢাকা ০৫:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পূর্বের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবার দায়িত্বে থাকছেন না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারুণ্যের অঙ্গীকারে প্রবাসী নেতৃত্ব—জাপান কানসাই ইউনিট জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত নরসিংদীর আশিক খন্দকার বিমানবন্দরে সোহেল তাজের বিদেশযাত্রায় বাধা শ্যামনগরের ৭০ মণ্ডপে তারেক রহমানের আর্থিক উপহার নির্বাচন নিয়ে ‘নীলনকশা’ হলে জনগণ ছেড়ে দেবে না লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

সন্ত্রাসে ঢাকার রাস্তায় রক্ত, অভিযানে সফলতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • / 194

সন্ত্রাসে ঢাকার রাস্তায় রক্ত

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও বাকি দুজনকে র‍্যাব।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিমিা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ তালেবুর রহমান।

গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন—মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিন (২২)। রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডটি ঘটে গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন সড়কে। সেখানে সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে এবং ইট-সিমেন্টের টুকরো দিয়ে থেঁতলে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই কোতোয়ালি থানা পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। সোহাগের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ডিসি তালেবুর রহমান জানান, ভাঙাড়ির ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূল এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাবও অভিযান চালিয়ে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ফলে এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহতের ওপর হামলার সময়কার ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সন্ত্রাসে ঢাকার রাস্তায় রক্ত, অভিযানে সফলতা

আপডেট সময় : ১২:৫৩:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও বাকি দুজনকে র‍্যাব।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিমিা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ তালেবুর রহমান।

গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন—মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিন (২২)। রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডটি ঘটে গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন সড়কে। সেখানে সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে এবং ইট-সিমেন্টের টুকরো দিয়ে থেঁতলে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই কোতোয়ালি থানা পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। সোহাগের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ডিসি তালেবুর রহমান জানান, ভাঙাড়ির ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূল এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাবও অভিযান চালিয়ে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ফলে এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহতের ওপর হামলার সময়কার ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।