ঢাকা ০৫:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পূর্বের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবার দায়িত্বে থাকছেন না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারুণ্যের অঙ্গীকারে প্রবাসী নেতৃত্ব—জাপান কানসাই ইউনিট জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত নরসিংদীর আশিক খন্দকার বিমানবন্দরে সোহেল তাজের বিদেশযাত্রায় বাধা শ্যামনগরের ৭০ মণ্ডপে তারেক রহমানের আর্থিক উপহার নির্বাচন নিয়ে ‘নীলনকশা’ হলে জনগণ ছেড়ে দেবে না লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করবেন ড. ইউনূস

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / 122

জরুরি বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করতে দেশটির প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (৫ এপ্রিল) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

তিনি বলেন, শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়টি হঠাৎ নয় এবং এতে বাংলাদেশের বড় ক্ষতির আশঙ্কা নেই। বরং আমদানি বাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান হবে।

জরুরি বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমানসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা।

এর আগে, গত ২ এপ্রিল ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে গড়ে ৩৭ শতাংশ করার ঘোষণা দেন। পূর্বে এই হার ছিল ১৫ শতাংশ। হোয়াইট হাউসের তথ্যমতে, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত পণ্যে ৭৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এর জবাবে ‘পাল্টা শুল্ক’ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ওই তালিকা অনুযায়ী, পাকিস্তানের ওপর ২৯ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৬ শতাংশ, চীনের ওপর ৩৪ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর ওপর ২০ শতাংশ, কম্বোডিয়ার পণ্যে ৪৯ শতাংশ, ভিয়েতনামে ৪৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৪৪ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ৩৬ শতাংশ, তাইওয়ানে ৩২ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৩২ শতাংশ, সুইজারল্যান্ডে ৩১ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩০ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৫ শতাংশ, জাপানে ২৪ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ২৪ শতাংশ, ইসরায়েলে ১৭ শতাংশ, ফিলিপাইনে ১৭ শতাংশ, সিঙ্গাপুরে ১০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ১০ শতাংশ, তুরস্ক, ব্রাজিল, চিলি এবং অস্ট্রেলিয়ায় ১০ শতাংশ করে শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করবেন ড. ইউনূস

আপডেট সময় : ১০:৩৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করতে দেশটির প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (৫ এপ্রিল) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

তিনি বলেন, শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়টি হঠাৎ নয় এবং এতে বাংলাদেশের বড় ক্ষতির আশঙ্কা নেই। বরং আমদানি বাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান হবে।

জরুরি বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমানসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা।

এর আগে, গত ২ এপ্রিল ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে গড়ে ৩৭ শতাংশ করার ঘোষণা দেন। পূর্বে এই হার ছিল ১৫ শতাংশ। হোয়াইট হাউসের তথ্যমতে, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত পণ্যে ৭৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এর জবাবে ‘পাল্টা শুল্ক’ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ওই তালিকা অনুযায়ী, পাকিস্তানের ওপর ২৯ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৬ শতাংশ, চীনের ওপর ৩৪ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর ওপর ২০ শতাংশ, কম্বোডিয়ার পণ্যে ৪৯ শতাংশ, ভিয়েতনামে ৪৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৪৪ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ৩৬ শতাংশ, তাইওয়ানে ৩২ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৩২ শতাংশ, সুইজারল্যান্ডে ৩১ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩০ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৫ শতাংশ, জাপানে ২৪ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ২৪ শতাংশ, ইসরায়েলে ১৭ শতাংশ, ফিলিপাইনে ১৭ শতাংশ, সিঙ্গাপুরে ১০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ১০ শতাংশ, তুরস্ক, ব্রাজিল, চিলি এবং অস্ট্রেলিয়ায় ১০ শতাংশ করে শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।