ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পূর্বের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবার দায়িত্বে থাকছেন না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারুণ্যের অঙ্গীকারে প্রবাসী নেতৃত্ব—জাপান কানসাই ইউনিট জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত নরসিংদীর আশিক খন্দকার বিমানবন্দরে সোহেল তাজের বিদেশযাত্রায় বাধা শ্যামনগরের ৭০ মণ্ডপে তারেক রহমানের আর্থিক উপহার নির্বাচন নিয়ে ‘নীলনকশা’ হলে জনগণ ছেড়ে দেবে না লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক তুলে না নিলে প্রতিশোধের হুমকি চীনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫০:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
  • / 107

যুক্তরাষ্ট্র-চীন

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের শতাধিক দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর চীন অবিলম্বে এ পদক্ষেপ বাতিল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, অন্যথায় নিজের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য তারা পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। খবর রয়টার্সের।

বৃহস্পতিবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপে বছরের পর বছর ধরে বহুপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনার মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বার্থের ভারসাম্য আর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য থেকে দীর্ঘদিন ধরে তারা যে ব্যাপকভাবে লাভবান হয়েছে তা উপেক্ষিত হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, চীন দৃঢ়ভাবে এর বিরোধিতা করে এবং নিজের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত করতে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।

রয়টার্স বলছে, আমদানি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঢালাও শুল্ক আরোপের পদক্ষেপে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিগুলোর গভীর বাণিজ্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে আর তা বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনকে উল্টে দিতে পারে।

বুধবার ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, চীন থেকে আমদানি করা পণ্যে চলতি বছরের প্রথমদিকে আরোপ করা ২০ শতাংশ শুল্কের ওপর নতুন করে আরও ৩৪ শতাংশ আরোপ হবে। এতে চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা মোট শুল্ক ৫৪ শতাংশে দাঁড়াচ্ছে। এটি নির্বাচনী প্রচারণাকালে ট্রাম্পের দেওয়া ৬০ শতাংশ শুল্কের হুমকির প্রায় কাছাকাছি।

বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রে শনিবার থেকে প্রবেশ করা সব দেশের প্রায় সব ধরনের পণ্য ১০ শতাংশ ভিত্তি শুল্কের মুখোমুখি হবে। চীনের ওপর আরোপিত নতুন ৩৪ শতাংশ শুল্কের মধ্যে এই ভিত্তি শুল্কও ধরা হয়েছে। আর এই অতিরিক্ত বর্ধিত ‘সম্পূরক শুল্ক’ ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

ট্রাম্প ‘ডি মিনিমিস’ হিসেবে পরিচিত শুল্ক এড়ানোর একটি বাণিজ্য প্রক্রিয়া বন্ধ করার নির্বাহী আদেশও সই করেছেন। এই প্রক্রিয়ার অধীনে চীন ও হংকংয়ের স্বল্প মূল্যের প্যাকেজগুলো বিনা শুল্কে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারতো।

২০২০ সালের যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির অনুযায়ী ১ এপ্রিল পর্যন্ত চীন তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে কি না, মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদের তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প।

এই চুক্তি অনুযায়ী দুই বছর সময়ের মধ্যে চীনের ২০ হাজার কোটি ডলারের মার্কিন পণ্য কেনার বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারী আঘাত হানার পর বেইজিং লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়।

চীনের শুল্ক তথ্যে থেকে দেখা গেছে, বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ২০১৭ সালে চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল আর গত বছর ওই অঙ্ক বেড়ে ১৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার হয়েছিল।

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ চীনকে বিকল্প বাজারগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করতে পারে, কিন্তু অন্য কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ক্রয় ক্ষমতার ধারের কাছেও নেই। চীনের উৎপাদকরা প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৪০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি মূল্যের পণ্য বিক্রি করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

One thought on “যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক তুলে না নিলে প্রতিশোধের হুমকি চীনের

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক তুলে না নিলে প্রতিশোধের হুমকি চীনের

আপডেট সময় : ০৫:৫০:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের শতাধিক দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর চীন অবিলম্বে এ পদক্ষেপ বাতিল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, অন্যথায় নিজের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য তারা পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। খবর রয়টার্সের।

বৃহস্পতিবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপে বছরের পর বছর ধরে বহুপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনার মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বার্থের ভারসাম্য আর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য থেকে দীর্ঘদিন ধরে তারা যে ব্যাপকভাবে লাভবান হয়েছে তা উপেক্ষিত হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, চীন দৃঢ়ভাবে এর বিরোধিতা করে এবং নিজের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত করতে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।

রয়টার্স বলছে, আমদানি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঢালাও শুল্ক আরোপের পদক্ষেপে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিগুলোর গভীর বাণিজ্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে আর তা বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনকে উল্টে দিতে পারে।

বুধবার ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, চীন থেকে আমদানি করা পণ্যে চলতি বছরের প্রথমদিকে আরোপ করা ২০ শতাংশ শুল্কের ওপর নতুন করে আরও ৩৪ শতাংশ আরোপ হবে। এতে চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা মোট শুল্ক ৫৪ শতাংশে দাঁড়াচ্ছে। এটি নির্বাচনী প্রচারণাকালে ট্রাম্পের দেওয়া ৬০ শতাংশ শুল্কের হুমকির প্রায় কাছাকাছি।

বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রে শনিবার থেকে প্রবেশ করা সব দেশের প্রায় সব ধরনের পণ্য ১০ শতাংশ ভিত্তি শুল্কের মুখোমুখি হবে। চীনের ওপর আরোপিত নতুন ৩৪ শতাংশ শুল্কের মধ্যে এই ভিত্তি শুল্কও ধরা হয়েছে। আর এই অতিরিক্ত বর্ধিত ‘সম্পূরক শুল্ক’ ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

ট্রাম্প ‘ডি মিনিমিস’ হিসেবে পরিচিত শুল্ক এড়ানোর একটি বাণিজ্য প্রক্রিয়া বন্ধ করার নির্বাহী আদেশও সই করেছেন। এই প্রক্রিয়ার অধীনে চীন ও হংকংয়ের স্বল্প মূল্যের প্যাকেজগুলো বিনা শুল্কে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারতো।

২০২০ সালের যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির অনুযায়ী ১ এপ্রিল পর্যন্ত চীন তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে কি না, মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদের তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প।

এই চুক্তি অনুযায়ী দুই বছর সময়ের মধ্যে চীনের ২০ হাজার কোটি ডলারের মার্কিন পণ্য কেনার বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারী আঘাত হানার পর বেইজিং লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়।

চীনের শুল্ক তথ্যে থেকে দেখা গেছে, বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ২০১৭ সালে চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল আর গত বছর ওই অঙ্ক বেড়ে ১৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার হয়েছিল।

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ চীনকে বিকল্প বাজারগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করতে পারে, কিন্তু অন্য কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ক্রয় ক্ষমতার ধারের কাছেও নেই। চীনের উৎপাদকরা প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৪০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি মূল্যের পণ্য বিক্রি করে।