মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ শান্তি ও কল্যাণের পথপ্রদর্শক: প্রধান উপদেষ্টা

- আপডেট সময় : ১২:৫৬:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 95

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানবজাতির মুক্তি ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শ ও সুন্নাহ অনুসরণ করা আজকের অস্থির পৃথিবীতে অপরিহার্য। তাঁর শিক্ষা বিশ্বে স্থায়ী শান্তি ও কল্যাণ বয়ে আনতে সক্ষম।
পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে প্রদত্ত এক বাণীতে তিনি উল্লেখ করেন, মহানবীর চরিত্র, আদর্শ ও দিকনির্দেশনা মুসলমানদের জন্য অফুরন্ত শান্তি ও সফলতার নিশ্চয়তা বহন করে। ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে তাঁর রেখে যাওয়া শিক্ষা সর্বকালের মানুষের জন্য অনুসরণীয় উদাহরণ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন “রাহমাতুল্লিল আলামিন”—সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত। আল্লাহ তাঁকে মানবজাতিকে মুক্তির পথ দেখানোর জন্য প্রেরণ করেছেন। কুরআনে বলা হয়েছে, “হে নবী, আমি আপনাকে বিশ্বজগতের জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি” (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত ১০৭)। নবী করিম (সা.) ছিলেন আলো ছড়ানো প্রদীপ, যিনি মানুষকে অন্ধকার থেকে মুক্ত করে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, মহানবীর প্রতি আল্লাহর আনুগত্য, তাঁর মহৎ গুণাবলি ও অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে কুরআনে তাঁর জীবনকে “উসওয়াতুন হাসানাহ্”—অর্থাৎ সর্বোত্তম আদর্শ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এ শিক্ষা ও আদর্শ যুগে যুগে মানবতার জন্য পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে।
বাণীর শেষে প্রধান উপদেষ্টা মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বলেন, “ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) আমাদের জীবনে কল্যাণ বয়ে আনুক, আমাদের ইহকাল ও পরকাল উভয়কে আলোকিত করুক।”