বললেন ফারুক-ই-আজম
বঙ্গবন্ধুসহ মুজিবনগর সরকারের সবাই মুক্তিযোদ্ধা

- আপডেট সময় : ০২:৪৪:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
- / 100

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুজিবনগর সরকারের সদস্যরা সবাই মুক্তিযোদ্ধা বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা—সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মো. মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামান—সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাই তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।
তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকারের যারা নীতিনির্ধারণী ও নেতৃত্বের দায়িত্বে ছিলেন, তারা প্রত্যেকেই মুক্তিযোদ্ধা। যারা যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন বা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা পাবেন। তবে ওই সরকারের অধীন কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে গণ্য করা হবে।
ফারুক-ই-আজম আরও বলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কর্মী এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন বিদেশে কর্মরত কূটনীতিকরাও ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। তবে ‘সহযোগী’ বলতে তাঁদের সম্মান বা মর্যাদা কমে যায় না; বরং মুক্তিযুদ্ধের সার্বিক অবদানে তাঁদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা নির্ধারিত হয়েছিল, তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পরবর্তীতে ২০১৮ ও ২০২২ সালে সেই সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়।
ফারুক-ই-আজম বলেন, “মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা—উভয়েরই সম্মান, মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা সমান থাকবে। জাতিগতভাবে মুক্তিযুদ্ধ না হলে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে পারতাম না। আমাদের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে গৌরবময় অধ্যায় আর কিছু নেই।”
উল্লেখ্য, এর আগের দিন—মঙ্গলবার (৩ জুন) রাত ১১টার দিকে সংশোধিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে।