ঢাকা ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পূর্বের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবার দায়িত্বে থাকছেন না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারুণ্যের অঙ্গীকারে প্রবাসী নেতৃত্ব—জাপান কানসাই ইউনিট জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত নরসিংদীর আশিক খন্দকার বিমানবন্দরে সোহেল তাজের বিদেশযাত্রায় বাধা শ্যামনগরের ৭০ মণ্ডপে তারেক রহমানের আর্থিক উপহার নির্বাচন নিয়ে ‘নীলনকশা’ হলে জনগণ ছেড়ে দেবে না লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:০৩:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • / 25

নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, রূপনগরের আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রথমে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, পরে আরও ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে।

তবে স্বজনরা অভিযোগ করছেন, এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ঘটনাস্থল ও আশপাশের হাসপাতালে তারা প্রিয়জনের খোঁজে ছুটছেন। অনেকেই প্রিয়জনের ছবি হাতে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।

সুরমা বেগম তার মেয়ে নার্গিস আক্তারের খোঁজ পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, “আর্মি, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস কেউ কিছু বলছে না। ভেতরে কী অবস্থা, মেয়ের কিছু হয়েছে কি না, কিছুই জানি না।”

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, পোশাক কারখানার ভিতরে প্রবেশ করা সম্ভব হলেও রাসায়নিক গুদামে এখনও প্রবেশ করা যায়নি। তাই হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় পরিস্থিতি অনুযায়ী, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চালাচ্ছেন। আশপাশে কয়েক হাজার মানুষ ভিড় করেছেন। শ্রমিকদের স্বজনেরা ছবি হাতে ধরে প্রিয়জনদের খুঁজছেন।

মামা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, তার ভাগনি মাহিরা (১৪) তিন তলায় কাজ করত। আগুন লাগার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আশেপাশের হাসপাতাল ও ফায়ার সার্ভিসে খোঁজ নিয়েছেন, কিন্তু তারা শুধু ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন।

লাইজু বেগম বলেন, তার বোন নার্গিস আক্তার সকালে কাজে গিয়েছিলেন, এরপর থেকে কোনো খোঁজ নেই। আগুন লাগার খবর তারা সকাল ১১টায় পেয়েছেন।

ইয়াসিন নামের এক ব্যক্তি ভাগনি সুলতানা ও তার স্বামীর ছবি হাতে বলেন, “আমার ভাগনি ও ভাগনির জামাই তিন দিন আগে কাজে ঢুকেছে। আজ সকালে দুজন একসঙ্গে আসে। আগুন লাগার পর ফোনে জানায়, তারা ভেতরে আটকা পড়েছে। এরপর থেকে কোনো খোঁজ নেই।”

স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, সকাল থেকে উদ্ধার কাজ চলছে, কিন্তু এখনও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে নি এবং ভেতরের পরিস্থিতি জানা যাচ্ছে না।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, “আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চলছে। অগ্নিনির্বাপণ শেষে ভেতরের পরিস্থিতি জানা যাবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি

আপডেট সময় : ১০:০৩:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, রূপনগরের আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রথমে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, পরে আরও ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে।

তবে স্বজনরা অভিযোগ করছেন, এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ঘটনাস্থল ও আশপাশের হাসপাতালে তারা প্রিয়জনের খোঁজে ছুটছেন। অনেকেই প্রিয়জনের ছবি হাতে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।

সুরমা বেগম তার মেয়ে নার্গিস আক্তারের খোঁজ পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, “আর্মি, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস কেউ কিছু বলছে না। ভেতরে কী অবস্থা, মেয়ের কিছু হয়েছে কি না, কিছুই জানি না।”

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, পোশাক কারখানার ভিতরে প্রবেশ করা সম্ভব হলেও রাসায়নিক গুদামে এখনও প্রবেশ করা যায়নি। তাই হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় পরিস্থিতি অনুযায়ী, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চালাচ্ছেন। আশপাশে কয়েক হাজার মানুষ ভিড় করেছেন। শ্রমিকদের স্বজনেরা ছবি হাতে ধরে প্রিয়জনদের খুঁজছেন।

মামা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, তার ভাগনি মাহিরা (১৪) তিন তলায় কাজ করত। আগুন লাগার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আশেপাশের হাসপাতাল ও ফায়ার সার্ভিসে খোঁজ নিয়েছেন, কিন্তু তারা শুধু ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন।

লাইজু বেগম বলেন, তার বোন নার্গিস আক্তার সকালে কাজে গিয়েছিলেন, এরপর থেকে কোনো খোঁজ নেই। আগুন লাগার খবর তারা সকাল ১১টায় পেয়েছেন।

ইয়াসিন নামের এক ব্যক্তি ভাগনি সুলতানা ও তার স্বামীর ছবি হাতে বলেন, “আমার ভাগনি ও ভাগনির জামাই তিন দিন আগে কাজে ঢুকেছে। আজ সকালে দুজন একসঙ্গে আসে। আগুন লাগার পর ফোনে জানায়, তারা ভেতরে আটকা পড়েছে। এরপর থেকে কোনো খোঁজ নেই।”

স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, সকাল থেকে উদ্ধার কাজ চলছে, কিন্তু এখনও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে নি এবং ভেতরের পরিস্থিতি জানা যাচ্ছে না।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, “আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চলছে। অগ্নিনির্বাপণ শেষে ভেতরের পরিস্থিতি জানা যাবে।”