ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পূর্বের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবার দায়িত্বে থাকছেন না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারুণ্যের অঙ্গীকারে প্রবাসী নেতৃত্ব—জাপান কানসাই ইউনিট জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত নরসিংদীর আশিক খন্দকার বিমানবন্দরে সোহেল তাজের বিদেশযাত্রায় বাধা শ্যামনগরের ৭০ মণ্ডপে তারেক রহমানের আর্থিক উপহার নির্বাচন নিয়ে ‘নীলনকশা’ হলে জনগণ ছেড়ে দেবে না লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

জামিন নিতে এসে আদালত থেকে পালালেন আ. লীগ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
  • আপডেট সময় : ১১:৫৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • / 169

জামিন নিতে এসে আদালত থেকে পালালেন আ. লীগ নেতা

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জামিন নিতে এসে আদালত চত্বর থেকেই কৌশলে পালিয়েছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। তার নাম নজরুল ইসলাম খান, যিনি জামাল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং দীর্ঘদিন ধরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি উপজেলার নাটোপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় বাসিন্দা শাহিনুর রহমান শাহীনের দায়ের করা এক মামলার প্রধান আসামি। মামলায় অভিযোগ রয়েছে—শাহিনুরের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালান নজরুল ও তার সহযোগীরা।

রোববার (২৯ জুন) মামলার ২৫ জন আসামি ঝিনাইদহ জেলা আদালতে জামিন চাইতে যান। আদালতে অন্য ২৪ আসামি উপস্থিত থাকলেও এক নম্বর আসামি নজরুল ইসলাম খান হাজির ছিলেন না। অথচ ওকালতনামায় তার স্বাক্ষর ছিল। আদালতের নির্দেশে এক ঘণ্টার মধ্যে হাজির করার সুযোগ দেওয়া হলেও সেটিও সম্ভব হয়নি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী শারমিন সুলতানা শ্যামলী নজরুলের অনুপস্থিতি গোপন রেখে জামিন আবেদন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আদালত বিষয়টি শনাক্ত করে নজরুলের জামিন নামঞ্জুর করেন এবং তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপের আভাস দেন।

অন্যদিকে, নাটোপাড়া গ্রামের ১৯ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পার্শ্ববর্তী ছোট তালিয়ান গ্রামের ৫ আসামি জামিন পান।

ঝিনাইদহ আদালতের একাধিক আইনজীবী জানান, শ্যামলী একজন পরিচিত আওয়ামীপন্থী আইনজীবী এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মামলা পরিচালনায় মাঝে মধ্যেই অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আসামিকে অনুপস্থিত রেখেও জামিনের চেষ্টা করাকে প্রতারণা হিসেবে আখ্যায়িত করেন তারা এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

এ বিষয়ে আইনজীবী শ্যামলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন রিসিভ হয়নি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী খলিল মিয়া বলেন, “আসামির উপস্থিতি ছাড়াই জামিনের চেষ্টা আদালতে ধরা পড়ে যায়। এটা প্রতারণার স্পষ্ট প্রমাণ।”

কোর্ট পরিদর্শক মুক্তার হোসেন জানান, ১৯ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জামিন নিতে এসে আদালত থেকে পালালেন আ. লীগ নেতা

আপডেট সময় : ১১:৫৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জামিন নিতে এসে আদালত চত্বর থেকেই কৌশলে পালিয়েছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। তার নাম নজরুল ইসলাম খান, যিনি জামাল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং দীর্ঘদিন ধরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি উপজেলার নাটোপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় বাসিন্দা শাহিনুর রহমান শাহীনের দায়ের করা এক মামলার প্রধান আসামি। মামলায় অভিযোগ রয়েছে—শাহিনুরের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালান নজরুল ও তার সহযোগীরা।

রোববার (২৯ জুন) মামলার ২৫ জন আসামি ঝিনাইদহ জেলা আদালতে জামিন চাইতে যান। আদালতে অন্য ২৪ আসামি উপস্থিত থাকলেও এক নম্বর আসামি নজরুল ইসলাম খান হাজির ছিলেন না। অথচ ওকালতনামায় তার স্বাক্ষর ছিল। আদালতের নির্দেশে এক ঘণ্টার মধ্যে হাজির করার সুযোগ দেওয়া হলেও সেটিও সম্ভব হয়নি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী শারমিন সুলতানা শ্যামলী নজরুলের অনুপস্থিতি গোপন রেখে জামিন আবেদন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আদালত বিষয়টি শনাক্ত করে নজরুলের জামিন নামঞ্জুর করেন এবং তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপের আভাস দেন।

অন্যদিকে, নাটোপাড়া গ্রামের ১৯ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পার্শ্ববর্তী ছোট তালিয়ান গ্রামের ৫ আসামি জামিন পান।

ঝিনাইদহ আদালতের একাধিক আইনজীবী জানান, শ্যামলী একজন পরিচিত আওয়ামীপন্থী আইনজীবী এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মামলা পরিচালনায় মাঝে মধ্যেই অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আসামিকে অনুপস্থিত রেখেও জামিনের চেষ্টা করাকে প্রতারণা হিসেবে আখ্যায়িত করেন তারা এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

এ বিষয়ে আইনজীবী শ্যামলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন রিসিভ হয়নি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী খলিল মিয়া বলেন, “আসামির উপস্থিতি ছাড়াই জামিনের চেষ্টা আদালতে ধরা পড়ে যায়। এটা প্রতারণার স্পষ্ট প্রমাণ।”

কোর্ট পরিদর্শক মুক্তার হোসেন জানান, ১৯ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।