আরও চারজন কারাগারে
চাঁদাবাজির মামলায় দায় স্বীকার রিয়াদের

- আপডেট সময় : ০৮:১২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫
- / 131

চাঁদাবাজির মামলায় দায় স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ। রবিবার (৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এদিন রিয়াদসহ চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করার অনুমতি চান। একইসঙ্গে বাকি তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো অন্য তিন আসামি হলেন; মো. ইব্রাহিম হোসেন, সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব। তারা সকলেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঘটনার পর তারা সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত হন।
এছাড়া মামলার অপর আসামি জানে আলম অপুর চার দিনের রিমান্ড চলমান রয়েছে। তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৭ জুলাই সকালে গুলশান ৮৩ নম্বর রোডের একটি বাসায় গিয়ে অভিযুক্ত রিয়াদ ও গৌরব অপু সাবেক এমপি শাম্মি আহম্মেদের আত্মীয় সিদ্দিক আবু জাফরের কাছে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা হুমকি দিয়ে বলেন, দাবি পূরণ না হলে তাকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেবেন।
ভুক্তভোগী প্রথম দফায় বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু ২৬ জুলাই বিকেলে পুনরায় গুলশানে তার বাসায় এসে বাকি টাকা না দিলে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
ওই সময় গুলশান থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রিয়াদসহ পাঁচজনকে আটক করে। এজাহারে নাম থাকা আরেক আসামি কাজী গৌরব অপু সেখান থেকে পালিয়ে যান।
এর আগে ২৭ জুলাই আদালত মামলার আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলায় মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তাদের মধ্যে একজন কিশোর হওয়ায় তাকে গাজীপুর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।