ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে রাজপথে ঢাকার শিক্ষার্থীরা

- আপডেট সময় : ০২:২৯:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
- / 129

ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে আজ সোমবার দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে রাজপথে নেমে এসেছেন। সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন কলেজসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হন। বিভিন্ন প্রাঙ্গণ ও সড়কে অবস্থান নিয়ে তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দেন এবং গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, “গাজায় যা ঘটছে, তা যুদ্ধাপরাধ ছাড়া কিছু নয়। এই হত্যাযজ্ঞ দ্রুত বন্ধ করতে হবে।” তারা বাংলাদেশ সরকারকে ফিলিস্তিনের পক্ষে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান এবং মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার অনুরোধ জানান। একইসঙ্গে ইসরায়েলকে সহায়তাকারী দেশগুলোর বিরুদ্ধে বয়কটের ডাক দেন তারা।
বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। মিরপুর ১২ নম্বরে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। এছাড়া বারিধারায় মার্কিন দূতাবাসের সামনেও বিক্ষোভ দেখা যায়। নিউ মার্কেট এলাকায় বিক্ষোভ করেন ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রদের স্লোগানে উঠে আসে—ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা, ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি। বিইউপির শিক্ষার্থীরা বলেন, “এই প্রতিবাদ কেবল মুসলমানদের নয়, বরং এটি মানবতার পক্ষে দাঁড়ানোর লড়াই। দেশের সকল স্তরের মানুষকে এতে একাত্ম হতে হবে।” তারা ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের আহ্বানও জানান।
এর আগে রোববার ‘The World Stops for Gaza’ কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন।
এদিকে,
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে সরাসরি দায়ী করেছে হামাস। এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি এই হামলাকে ‘ফিলিস্তিনি নির্মূল যুদ্ধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
হামাস দাবি করেছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা, রাফাহ, খান ইউনুস, দেইর আল-বালাহ ও গাজা সিটির তুফফাহ এলাকায় বর্বর গণহত্যা চালিয়েছে। তারা বলেছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার এই হামলা চালিয়ে যেতে পারছে ট্রাম্প প্রশাসনের রাজনৈতিক ও সামরিক সমর্থনের কারণেই।
বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকারের হাতে সংঘটিত ভয়াবহ গণহত্যার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সরাসরি দায়ী।’
2 thoughts on “গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে রাজপথে ঢাকার শিক্ষার্থীরা ”