ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পূর্বের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবার দায়িত্বে থাকছেন না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারুণ্যের অঙ্গীকারে প্রবাসী নেতৃত্ব—জাপান কানসাই ইউনিট জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত নরসিংদীর আশিক খন্দকার বিমানবন্দরে সোহেল তাজের বিদেশযাত্রায় বাধা শ্যামনগরের ৭০ মণ্ডপে তারেক রহমানের আর্থিক উপহার নির্বাচন নিয়ে ‘নীলনকশা’ হলে জনগণ ছেড়ে দেবে না লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে: খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:১৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • / 78

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে: খালেদা জিয়া

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশের বিদ্যমান সংকট কাটিয়ে উঠতে নতুনভাবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দ্রুত প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। সেই সঙ্গে গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকারদের তালিকা তৈরি, দ্রুত বিচার নিশ্চিত এবং তাদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও পুনর্বাসনের দাবি জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন খালেদা জিয়া। ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মান জানানো হয়।

খালেদা জিয়া বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আওয়ামী শাসন জনগণের ওপর দমন-পীড়নের যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, তা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। আজ আমাদের সামনে নতুন করে একটি বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ এসেছে।”

তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে যারা গুম, খুন ও নিপীড়নের পথ বেছে নিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সময়ের দাবি। এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর নিরাপত্তা ও সম্মানজনক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে।”

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা চাই শহীদ জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ। আসুন সবাই মিলে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার পথে ঐক্যবদ্ধ হই।”

খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “বীর শহীদদের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। যে রক্ত আর অশ্রু দিয়ে এ পথ রচিত হয়েছে, তা যেন একাত্তরের চেতনার সঙ্গেই যুক্ত হয় নতুন বাংলাদেশের পথে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে: খালেদা জিয়া

আপডেট সময় : ১১:১৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশের বিদ্যমান সংকট কাটিয়ে উঠতে নতুনভাবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দ্রুত প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। সেই সঙ্গে গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকারদের তালিকা তৈরি, দ্রুত বিচার নিশ্চিত এবং তাদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও পুনর্বাসনের দাবি জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন খালেদা জিয়া। ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মান জানানো হয়।

খালেদা জিয়া বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আওয়ামী শাসন জনগণের ওপর দমন-পীড়নের যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, তা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। আজ আমাদের সামনে নতুন করে একটি বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ এসেছে।”

তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে যারা গুম, খুন ও নিপীড়নের পথ বেছে নিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সময়ের দাবি। এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর নিরাপত্তা ও সম্মানজনক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে।”

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা চাই শহীদ জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ। আসুন সবাই মিলে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার পথে ঐক্যবদ্ধ হই।”

খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “বীর শহীদদের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। যে রক্ত আর অশ্রু দিয়ে এ পথ রচিত হয়েছে, তা যেন একাত্তরের চেতনার সঙ্গেই যুক্ত হয় নতুন বাংলাদেশের পথে।”