ঢাকা ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পূর্বের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবার দায়িত্বে থাকছেন না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারুণ্যের অঙ্গীকারে প্রবাসী নেতৃত্ব—জাপান কানসাই ইউনিট জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত নরসিংদীর আশিক খন্দকার বিমানবন্দরে সোহেল তাজের বিদেশযাত্রায় বাধা শ্যামনগরের ৭০ মণ্ডপে তারেক রহমানের আর্থিক উপহার নির্বাচন নিয়ে ‘নীলনকশা’ হলে জনগণ ছেড়ে দেবে না লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

কোকো: রাজনীতির আড়ালে ক্রীড়া উন্নয়নের গল্প

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৪১:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
  • / 192

আরাফাত রহমান ককো

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর জন্মদিন। ১৯৭০ সালের ১২ আগস্ট জন্ম নেওয়া কোকো রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে উঠলেও তিনি রাজনীতির চেয়ে ক্রীড়াঙ্গন ও প্রশাসনিক দায়িত্বে বেশি পরিচিত ছিলেন।

কোকো ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি গভীর অনুরাগী ছিলেন। তিনি ফুটবল ও ক্রিকেট উভয় খেলায় সমান আগ্রহ দেখিয়েছেন। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর কোকোকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক এবং পরে উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়। তার নেতৃত্বে দেশের ক্রিকেট অবকাঠামো উন্নয়নে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়, যার মধ্যে রয়েছে আঞ্চলিক ক্রিকেট একাডেমি স্থাপন এবং ঘরোয়া ক্রিকেট লিগের কাঠামো সংস্কার।

রাজনীতিতে সরাসরি সক্রিয় না হলেও কোকো বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নীরবে ভূমিকা রেখেছেন এবং মাঠপর্যায়ে খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে উৎসাহিত করেছেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রায়ই বলেন, কোকো ছিলেন শান্ত স্বভাবের, জনসম্মুখে খুব বেশি আসতেন না, তবে দলের প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হতেন না।

২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কোকো গ্রেপ্তার হন এবং পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যান। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৫ বছর।

প্রতিবছর তার জন্মদিনে বিএনপি এবং কোকোপ্রেমীরা দোয়া মাহফিল, স্মরণসভা ও বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম আয়োজন করে থাকেন। খেলাধুলা ও তরুণ প্রজন্মের উন্নয়নে তার অবদান অনেকের কাছে আজও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কোকো: রাজনীতির আড়ালে ক্রীড়া উন্নয়নের গল্প

আপডেট সময় : ১১:৪১:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

আজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর জন্মদিন। ১৯৭০ সালের ১২ আগস্ট জন্ম নেওয়া কোকো রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে উঠলেও তিনি রাজনীতির চেয়ে ক্রীড়াঙ্গন ও প্রশাসনিক দায়িত্বে বেশি পরিচিত ছিলেন।

কোকো ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি গভীর অনুরাগী ছিলেন। তিনি ফুটবল ও ক্রিকেট উভয় খেলায় সমান আগ্রহ দেখিয়েছেন। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর কোকোকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক এবং পরে উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়। তার নেতৃত্বে দেশের ক্রিকেট অবকাঠামো উন্নয়নে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়, যার মধ্যে রয়েছে আঞ্চলিক ক্রিকেট একাডেমি স্থাপন এবং ঘরোয়া ক্রিকেট লিগের কাঠামো সংস্কার।

রাজনীতিতে সরাসরি সক্রিয় না হলেও কোকো বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নীরবে ভূমিকা রেখেছেন এবং মাঠপর্যায়ে খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে উৎসাহিত করেছেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রায়ই বলেন, কোকো ছিলেন শান্ত স্বভাবের, জনসম্মুখে খুব বেশি আসতেন না, তবে দলের প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হতেন না।

২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কোকো গ্রেপ্তার হন এবং পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যান। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৫ বছর।

প্রতিবছর তার জন্মদিনে বিএনপি এবং কোকোপ্রেমীরা দোয়া মাহফিল, স্মরণসভা ও বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম আয়োজন করে থাকেন। খেলাধুলা ও তরুণ প্রজন্মের উন্নয়নে তার অবদান অনেকের কাছে আজও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে।