ঢাকা ০২:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পূর্বের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবার দায়িত্বে থাকছেন না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারুণ্যের অঙ্গীকারে প্রবাসী নেতৃত্ব—জাপান কানসাই ইউনিট জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত নরসিংদীর আশিক খন্দকার বিমানবন্দরে সোহেল তাজের বিদেশযাত্রায় বাধা শ্যামনগরের ৭০ মণ্ডপে তারেক রহমানের আর্থিক উপহার নির্বাচন নিয়ে ‘নীলনকশা’ হলে জনগণ ছেড়ে দেবে না লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

কারাগারে মমতাজের দিনকাল কেমন যাচ্ছে?

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:৩৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • / 103
দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জনপ্রিয় লোকগানের শিল্পী ও সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম বর্তমানে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে রয়েছেন এবং সেখানে তিনি পাচ্ছেন প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা। সংসদ সদস্য থাকার কারণে এই বিশেষ সুবিধা মিলেছে বলে জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ।

কারা তত্ত্বাবধায়ক কাওালিন নাহার গণমাধ্যমকে জানান, “মমতাজ বেগম এমপি ছিলেন, তাই তিনি প্রথম শ্রেণির বন্দির সুবিধা পাচ্ছেন। এই শ্রেণির আওতায় তার জন্য বরাদ্দ রয়েছে একটি খাট, টেবিল এবং নিয়মিত পত্রিকা। খাবারে থাকছে ভাত, মাছ ও মাংস।”

জেলজীবনে বই আর পত্রিকার আশ্রয়

মমতাজ বেগমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম জানিয়েছেন, মমতাজ দেড় মাস ধরে কারাগারে আছেন এবং সময় কাটানোর জন্য তিনি ধর্মীয় বই ও পত্রিকা পড়ছেন। “তিনি আমাকে কিছু বই এনে দিতে বলেন, আমি সেগুলো কারাগারে পৌঁছে দিয়েছি,” জানান রেজাউল।

আত্মগোপন ও গ্রেপ্তার

প্রসঙ্গত, ছাত্রজনতার গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর প্রথম কয়েক মাস মমতাজ বেগম তার নিজ জেলা মানিকগঞ্জে আত্মগোপনে ছিলেন বলে দাবি করেন তার আইনজীবী। প্রায় তিন মাস পর তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন এবং গত ১২ মে ধানমন্ডি এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে।

পরদিন, ১৩ মে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। ২২ মে মানিকগঞ্জ আদালতে নেওয়ার সময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আদালত প্রাঙ্গণে মমতাজের দিকে ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করা হয়, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

বিতর্ক ও রাজনৈতিক বিভাজন

ঢাকা দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকি বলেন, “মমতাজ ছিলেন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। একজন শিল্পী হয়েও তিনি দীর্ঘদিন তার পক্ষে কাজ করেছেন।”

অন্যদিকে, মমতাজের আইনজীবী রেজাউল করিম মনে করেন, “শুধু একজন সাবেক সংসদ সদস্য হওয়ার কারণেই তাকে একের পর এক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। একজন খ্যাতিমান শিল্পীর জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।”

পরবর্তী শুনানির অপেক্ষা

বর্তমানে মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারিত না হলেও, তার আইনজীবীরা দ্রুত জামিনের আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কারাগারে মমতাজের দিনকাল কেমন যাচ্ছে?

আপডেট সময় : ১২:৩৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

জনপ্রিয় লোকগানের শিল্পী ও সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম বর্তমানে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে রয়েছেন এবং সেখানে তিনি পাচ্ছেন প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা। সংসদ সদস্য থাকার কারণে এই বিশেষ সুবিধা মিলেছে বলে জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ।

কারা তত্ত্বাবধায়ক কাওালিন নাহার গণমাধ্যমকে জানান, “মমতাজ বেগম এমপি ছিলেন, তাই তিনি প্রথম শ্রেণির বন্দির সুবিধা পাচ্ছেন। এই শ্রেণির আওতায় তার জন্য বরাদ্দ রয়েছে একটি খাট, টেবিল এবং নিয়মিত পত্রিকা। খাবারে থাকছে ভাত, মাছ ও মাংস।”

জেলজীবনে বই আর পত্রিকার আশ্রয়

মমতাজ বেগমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম জানিয়েছেন, মমতাজ দেড় মাস ধরে কারাগারে আছেন এবং সময় কাটানোর জন্য তিনি ধর্মীয় বই ও পত্রিকা পড়ছেন। “তিনি আমাকে কিছু বই এনে দিতে বলেন, আমি সেগুলো কারাগারে পৌঁছে দিয়েছি,” জানান রেজাউল।

আত্মগোপন ও গ্রেপ্তার

প্রসঙ্গত, ছাত্রজনতার গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর প্রথম কয়েক মাস মমতাজ বেগম তার নিজ জেলা মানিকগঞ্জে আত্মগোপনে ছিলেন বলে দাবি করেন তার আইনজীবী। প্রায় তিন মাস পর তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন এবং গত ১২ মে ধানমন্ডি এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে।

পরদিন, ১৩ মে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। ২২ মে মানিকগঞ্জ আদালতে নেওয়ার সময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আদালত প্রাঙ্গণে মমতাজের দিকে ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করা হয়, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

বিতর্ক ও রাজনৈতিক বিভাজন

ঢাকা দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকি বলেন, “মমতাজ ছিলেন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। একজন শিল্পী হয়েও তিনি দীর্ঘদিন তার পক্ষে কাজ করেছেন।”

অন্যদিকে, মমতাজের আইনজীবী রেজাউল করিম মনে করেন, “শুধু একজন সাবেক সংসদ সদস্য হওয়ার কারণেই তাকে একের পর এক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। একজন খ্যাতিমান শিল্পীর জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।”

পরবর্তী শুনানির অপেক্ষা

বর্তমানে মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারিত না হলেও, তার আইনজীবীরা দ্রুত জামিনের আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।