ঢাকা ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পূর্বের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবার দায়িত্বে থাকছেন না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারুণ্যের অঙ্গীকারে প্রবাসী নেতৃত্ব—জাপান কানসাই ইউনিট জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত নরসিংদীর আশিক খন্দকার বিমানবন্দরে সোহেল তাজের বিদেশযাত্রায় বাধা শ্যামনগরের ৭০ মণ্ডপে তারেক রহমানের আর্থিক উপহার নির্বাচন নিয়ে ‘নীলনকশা’ হলে জনগণ ছেড়ে দেবে না লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

মার্চ ফর গাজা

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • / 141

মার্চ ফর গাজা

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজায় চলমান দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে আজ ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘মার্চ ফর গাজা’ শীর্ষক গণজমায়েত। যদিও কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা বিকেল ৩টায়, তার বহু আগে থেকেই উদ্যান জনসমুদ্রের রূপ নিয়েছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো মানুষ পতাকা, প্ল্যাকার্ড, ব্যাজ ও টি-শার্ট নিয়ে দলে দলে সমাবেশস্থলে এসে জমায়েত হচ্ছেন।

সকাল ১০টার মধ্যেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অর্ধেকের বেশি জায়গা মানুষের উপস্থিতিতে পূর্ণ হয়ে যায়। সমবেত মানুষদের হাতে ছিল ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা, আর লেখা ছিল– “ফ্রি প্যালেস্টাইন”, “গাজা আমাদের ভাইয়ের রক্তে ভেজা”– এমন নানা মানবিক স্লোগান।

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো—গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তোলা এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানানো। আয়োজকরা জানিয়েছেন, বিকেল ৩টা থেকে মাগরিবের আগপর্যন্ত চলবে এই ঐতিহাসিক গণসমাবেশ, যাতে যোগ দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও সামাজিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা।

এ উপলক্ষে উদ্যানে পতাকা, ব্যাজ ও টি-শার্ট বিক্রির ধুম পড়ে গেছে। ফিলিস্তিন পতাকা আকারভেদে ১২০ থেকে ৩০০ টাকায়, ব্যাজ ১০ থেকে ২০ টাকায়, আর টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

সমাবেশে অংশ নিতে আসা নিরব আহমেদ বলেন, “ফিলিস্তিনের জন্য আমাদের এই দাঁড়িয়ে থাকা বড় কিছু। তাই আমি বড় একটি পতাকা কিনেছি—এ যেন এক প্রতীকী প্রতিবাদ।”
আরেক অংশগ্রহণকারী শফিক বলেন, “ফিলিস্তিনের মানুষের যন্ত্রণায় আমি কষ্ট পাই। এই টি-শার্ট আর ব্যাজ পরে মনে হয় আমি নিজেও তাদের একজন।”

সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের মুখে একটাই বার্তা—নিরস্ত্র মানুষের ওপর বর্বরতা চলতে পারে না। ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানো শুধু মানবিক দায়িত্বই নয়, এটা ন্যায়ের পক্ষেও অবস্থান নেওয়া।

বিকেলের দিকে সমাবেশ আরও বর্ণাঢ্য ও প্রভাবশালী হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে লাখো কণ্ঠে উচ্চারিত হবে একটিই আহ্বান— “গাজার পাশে দাঁড়ান, নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মার্চ ফর গাজা

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো মানুষের ঢল

আপডেট সময় : ১২:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

গাজায় চলমান দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে আজ ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘মার্চ ফর গাজা’ শীর্ষক গণজমায়েত। যদিও কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা বিকেল ৩টায়, তার বহু আগে থেকেই উদ্যান জনসমুদ্রের রূপ নিয়েছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো মানুষ পতাকা, প্ল্যাকার্ড, ব্যাজ ও টি-শার্ট নিয়ে দলে দলে সমাবেশস্থলে এসে জমায়েত হচ্ছেন।

সকাল ১০টার মধ্যেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অর্ধেকের বেশি জায়গা মানুষের উপস্থিতিতে পূর্ণ হয়ে যায়। সমবেত মানুষদের হাতে ছিল ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা, আর লেখা ছিল– “ফ্রি প্যালেস্টাইন”, “গাজা আমাদের ভাইয়ের রক্তে ভেজা”– এমন নানা মানবিক স্লোগান।

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো—গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তোলা এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানানো। আয়োজকরা জানিয়েছেন, বিকেল ৩টা থেকে মাগরিবের আগপর্যন্ত চলবে এই ঐতিহাসিক গণসমাবেশ, যাতে যোগ দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও সামাজিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা।

এ উপলক্ষে উদ্যানে পতাকা, ব্যাজ ও টি-শার্ট বিক্রির ধুম পড়ে গেছে। ফিলিস্তিন পতাকা আকারভেদে ১২০ থেকে ৩০০ টাকায়, ব্যাজ ১০ থেকে ২০ টাকায়, আর টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

সমাবেশে অংশ নিতে আসা নিরব আহমেদ বলেন, “ফিলিস্তিনের জন্য আমাদের এই দাঁড়িয়ে থাকা বড় কিছু। তাই আমি বড় একটি পতাকা কিনেছি—এ যেন এক প্রতীকী প্রতিবাদ।”
আরেক অংশগ্রহণকারী শফিক বলেন, “ফিলিস্তিনের মানুষের যন্ত্রণায় আমি কষ্ট পাই। এই টি-শার্ট আর ব্যাজ পরে মনে হয় আমি নিজেও তাদের একজন।”

সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের মুখে একটাই বার্তা—নিরস্ত্র মানুষের ওপর বর্বরতা চলতে পারে না। ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানো শুধু মানবিক দায়িত্বই নয়, এটা ন্যায়ের পক্ষেও অবস্থান নেওয়া।

বিকেলের দিকে সমাবেশ আরও বর্ণাঢ্য ও প্রভাবশালী হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে লাখো কণ্ঠে উচ্চারিত হবে একটিই আহ্বান— “গাজার পাশে দাঁড়ান, নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।”