ঢাকা ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পূর্বের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবার দায়িত্বে থাকছেন না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারুণ্যের অঙ্গীকারে প্রবাসী নেতৃত্ব—জাপান কানসাই ইউনিট জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত নরসিংদীর আশিক খন্দকার বিমানবন্দরে সোহেল তাজের বিদেশযাত্রায় বাধা শ্যামনগরের ৭০ মণ্ডপে তারেক রহমানের আর্থিক উপহার নির্বাচন নিয়ে ‘নীলনকশা’ হলে জনগণ ছেড়ে দেবে না লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

মোংলায় শামীমুর রহমান শামীম

সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল করে বাকশাল কায়েম করে শেখ মুজিব

মাসুদ রানা, মোংলা (বাগেরহাট)
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৪:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • / 344

সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল করে বাকশাল কায়েম করে শেখ মুজিব

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেছেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষের অধিকার হরণ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ‘বাকশাল’ চালু করেন। সেই সময় তিনি গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করে সবার আগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের—বিশেষ করে হিন্দুদের—সম্পত্তি দখল ও লুটপাটের পথ উন্মুক্ত করেন।

তিনি বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, শেখ মুজিবের শাসনামল এবং গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতাকর্মীরাই সংখ্যালঘুদের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্যাতন, ঘরবাড়ি ও ঘের দখল এবং সম্পদ লুটের মাধ্যমে দুঃশাসন কায়েম করেছে।

বুধবার (১১ জুন) বিকেলে মোংলা-রামপালের দ্বিগরাজ বাজারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জানমাল ও সার্বিক নিরাপত্তার দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রামপাল উপজেলার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক সম্ভু কুণ্ড।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকরাম হোসেন তালিম, সাবেক এমপি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট ওহিদুজ্জামান দিপু, মোংলা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র মো. জুলফিকার আলী, রামপাল উপজেলা আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন, কল্যাণ ফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক প্রদীপ বসু সন্তু, সদস্য সচিব শিমুল চন্দ্র রায়, মোংলা উপজেলা শাখার গোপাল মণ্ডল কালু এবং পৌর শাখার আহ্বায়ক শচীন রায়।

শামীমুর রহমান শামীম বলেন, “ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জাতি এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছিল। আমরা চাই, সেই বাংলাদেশ হোক শান্তিপূর্ণ, মানবিক এবং ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবার জন্য বাসযোগ্য। দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনই আমাদের লক্ষ্য।”

তিনি আরও বলেন, “এই বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু’ বলে কোনো আলাদা পরিচয় নয়—সবাই সমান। আমরা সবাই ভাই ভাই। কোনো ধর্মের মানুষ যেন নির্যাতনের শিকার না হয়, সে লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যারা ধর্ম-বর্ণের ভিত্তিতে মানুষকে বিভক্ত করতে চায় কিংবা গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা তৈরি করে, তাদেরকে জনগণের শক্তিতে প্রতিহত করতে হবে।”

শেষে তিনি বলেন, “মোংলা-রামপাল অঞ্চলের সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের ঐতিহ্য ধরে রাখার পাশাপাশি সারাদেশে তারেক রহমানের নেতৃত্বে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মোংলায় শামীমুর রহমান শামীম

সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল করে বাকশাল কায়েম করে শেখ মুজিব

আপডেট সময় : ০৩:৪৪:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

বিএনপির কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেছেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষের অধিকার হরণ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ‘বাকশাল’ চালু করেন। সেই সময় তিনি গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করে সবার আগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের—বিশেষ করে হিন্দুদের—সম্পত্তি দখল ও লুটপাটের পথ উন্মুক্ত করেন।

তিনি বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, শেখ মুজিবের শাসনামল এবং গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতাকর্মীরাই সংখ্যালঘুদের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্যাতন, ঘরবাড়ি ও ঘের দখল এবং সম্পদ লুটের মাধ্যমে দুঃশাসন কায়েম করেছে।

বুধবার (১১ জুন) বিকেলে মোংলা-রামপালের দ্বিগরাজ বাজারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জানমাল ও সার্বিক নিরাপত্তার দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রামপাল উপজেলার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক সম্ভু কুণ্ড।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকরাম হোসেন তালিম, সাবেক এমপি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট ওহিদুজ্জামান দিপু, মোংলা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র মো. জুলফিকার আলী, রামপাল উপজেলা আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন, কল্যাণ ফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক প্রদীপ বসু সন্তু, সদস্য সচিব শিমুল চন্দ্র রায়, মোংলা উপজেলা শাখার গোপাল মণ্ডল কালু এবং পৌর শাখার আহ্বায়ক শচীন রায়।

শামীমুর রহমান শামীম বলেন, “ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জাতি এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছিল। আমরা চাই, সেই বাংলাদেশ হোক শান্তিপূর্ণ, মানবিক এবং ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবার জন্য বাসযোগ্য। দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনই আমাদের লক্ষ্য।”

তিনি আরও বলেন, “এই বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু’ বলে কোনো আলাদা পরিচয় নয়—সবাই সমান। আমরা সবাই ভাই ভাই। কোনো ধর্মের মানুষ যেন নির্যাতনের শিকার না হয়, সে লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যারা ধর্ম-বর্ণের ভিত্তিতে মানুষকে বিভক্ত করতে চায় কিংবা গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা তৈরি করে, তাদেরকে জনগণের শক্তিতে প্রতিহত করতে হবে।”

শেষে তিনি বলেন, “মোংলা-রামপাল অঞ্চলের সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের ঐতিহ্য ধরে রাখার পাশাপাশি সারাদেশে তারেক রহমানের নেতৃত্বে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।”