নবলোক পরিষদের উদ্যোগে ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ

- আপডেট সময় : ০৬:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
- / 256

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় নবলোক পরিষদ বাস্তবায়িত এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর সহযোগিতায় পরিচালিত ‘রেজিলিয়েন্ট হোমস্টেড অ্যান্ড লাইভলিহুড সাপোর্ট টু দ্য ভালনারেবল কোস্টাল পিপলস অব বাংলাদেশ (আরএইচএল)’ প্রকল্পের আওতায় মোংলায় ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা ও কলম বিতরণ করা হয়েছে।
উপকূলীয় মোংলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় থেকে ঘরবাড়ি সুরক্ষার জন্য প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা গড়ে তুলতে এবং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। চলতি মাসের ২৬ জুন পর্যন্ত মোট ২৬০০ জন উপকারভোগী, ৩৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২০টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় পর্যায়ক্রমে ৫০০টি গাছের চারা ও সুরক্ষার জন্য ব্লু-নেট বিতরণ করা হবে।
এরই অংশ হিসেবে ৩১ মে ও ১ জুন সোনাইলতলা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে আরএইএল প্রকল্পের আওতায় ১৭ হাজার ৫০০ জন উপকারভোগীর মধ্যে পাঁচ প্রকারের ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা ও কলম এবং চারার সুরক্ষার জন্য ব্লু-নেট বিতরণ করা হয়।
চারা ও ব্লু-নেট বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্যবৃন্দ, আরএইচএল প্রকল্পের ফোকাল পারসন মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, প্রকল্প সমন্বয়কারী কাজী তোবারক হোসেনসহ প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা উপকূলীয় অঞ্চলের বসতবাড়ি ঘিরে গাছ লাগানোর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এ উদ্যোগ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা গড়ে তুলবে, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সহায়ক হবে।
উপস্থিত উপকারভোগীরা বিনামূল্যে গাছের চারা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সেগুলো যত্নসহকারে পরিচর্যার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। স্থানীয়রা মনে করছেন, উপকূল অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বসতভিটায় বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।