ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পূর্বের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবার দায়িত্বে থাকছেন না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারুণ্যের অঙ্গীকারে প্রবাসী নেতৃত্ব—জাপান কানসাই ইউনিট জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত নরসিংদীর আশিক খন্দকার বিমানবন্দরে সোহেল তাজের বিদেশযাত্রায় বাধা শ্যামনগরের ৭০ মণ্ডপে তারেক রহমানের আর্থিক উপহার নির্বাচন নিয়ে ‘নীলনকশা’ হলে জনগণ ছেড়ে দেবে না লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি

ঢাকা কাস্টমসের মাজেদ ও এনামুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে এনবিআর

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৬:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫
  • / 179

ঢাকা কাস্টমসের মাজেদ ও এনামুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে এনবিআর

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাজেদ ও এনামুলের বিরুদ্ধে চোরাচালান সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম রোববার ১৭ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।

এদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খুব দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি দেশ আমারকে নিশ্চিত করেছেন এনবিআরের সদস্য (কাস্টমস: নিরীক্ষা, আধুনিকায়ন ও আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য) ড. মোহাঃ আল আমিন প্রামানিক।

তিনি বলেন, আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি; নিশ্চিত থাকুন। ঢাকা কাস্টমস হাউসের যে দুই কর্মকর্তার রিবুদ্ধে অভিযোগ এসেছে; তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।

এদিকে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মাজেদ ও এনামুল কাস্টমসের ভিতরে চোরাচালান ও দুর্নীতির কার্যক্রমকে সহায়তা করছেন। তাঁদের সঙ্গে সিনিয়র কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে চোরাচালানের একটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এতে বৈধভাবে শুল্ক পরিশোধ করে পণ্য খালাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এ কর্মকর্তা ও চোরাচালান সিন্ডিকেট এয়ার ফ্রেইট ইউনিটের ডেলিভারি গেট-১ ব্যবহার করে নিষিদ্ধ পণ্য যেমন ইলেকট্রিক সিগারেট, সেক্স টয়, পুরাতন ল্যাপটপ, শর্তযুক্ত মোবাইল ফোন, মেডিসিন, ড্রোন, ওয়াকিটকি এবং উচ্চ শুল্কের পণ্য খালাস দিচ্ছেন। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ঘোষণা বা আমদানি শর্ত অমান্য করা হচ্ছে।

এ ধরনের কার্যক্রমে সরকার প্রতিদিন ১০–১২ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। বাজারে অবৈধ ও নিষিদ্ধ পণ্যের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বৈধ ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতায় হেরে যাচ্ছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, নতুন ব্যাগেজ নিয়ম অনুযায়ী প্রবাসীরা বছরে একটি নতুন মোবাইল ও সর্বোচ্চ দুটি ব্যবহৃত মোবাইল আনতে পারবেন, তবে বৈধ আমদানি শুল্ক ও বিটিআরসির শর্ত পূরণ করা বাধ্যতামূলক।

দেশে মোবাইল ফোনের চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে কাস্টমসের অসাধু কর্মকর্তা ও চোরাচালান চক্র ডেলিভারি গেট-১ কে চোরাচালানের রুট বানিয়ে দিয়েছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, প্রতিদিন চীন, হংকং, দুবাই, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আড়াই থেকে তিন হাজার মোবাইল ফোন মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে শুল্ক ছাড়াই খালাস দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে সরকারের দৈনিক ৬–৭ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে এবং বৈধ আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এছাড়া কমার্সিয়াল চালানের আড়ালে ইলেকট্রিক সিগারেট, সেক্স টয়, পুরাতন ল্যাপটপ, মাদকদ্রব্য, মেডিসিন, ড্রোন ও ওয়াকিটকি চোরাচালান হচ্ছে। অভিযোগ অনুযায়ী, এই ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্মকর্তারা রাজস্ব ফাঁকির মোট অঙ্কের ৬০ শতাংশ কমিশন হিসেবে ঘুষ নিচ্ছেন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি

ঢাকা কাস্টমসের মাজেদ ও এনামুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে এনবিআর

আপডেট সময় : ০৮:৪৬:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকা কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাজেদ ও এনামুলের বিরুদ্ধে চোরাচালান সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম রোববার ১৭ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।

এদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খুব দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি দেশ আমারকে নিশ্চিত করেছেন এনবিআরের সদস্য (কাস্টমস: নিরীক্ষা, আধুনিকায়ন ও আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য) ড. মোহাঃ আল আমিন প্রামানিক।

তিনি বলেন, আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি; নিশ্চিত থাকুন। ঢাকা কাস্টমস হাউসের যে দুই কর্মকর্তার রিবুদ্ধে অভিযোগ এসেছে; তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।

এদিকে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মাজেদ ও এনামুল কাস্টমসের ভিতরে চোরাচালান ও দুর্নীতির কার্যক্রমকে সহায়তা করছেন। তাঁদের সঙ্গে সিনিয়র কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে চোরাচালানের একটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এতে বৈধভাবে শুল্ক পরিশোধ করে পণ্য খালাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এ কর্মকর্তা ও চোরাচালান সিন্ডিকেট এয়ার ফ্রেইট ইউনিটের ডেলিভারি গেট-১ ব্যবহার করে নিষিদ্ধ পণ্য যেমন ইলেকট্রিক সিগারেট, সেক্স টয়, পুরাতন ল্যাপটপ, শর্তযুক্ত মোবাইল ফোন, মেডিসিন, ড্রোন, ওয়াকিটকি এবং উচ্চ শুল্কের পণ্য খালাস দিচ্ছেন। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ঘোষণা বা আমদানি শর্ত অমান্য করা হচ্ছে।

এ ধরনের কার্যক্রমে সরকার প্রতিদিন ১০–১২ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। বাজারে অবৈধ ও নিষিদ্ধ পণ্যের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বৈধ ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতায় হেরে যাচ্ছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, নতুন ব্যাগেজ নিয়ম অনুযায়ী প্রবাসীরা বছরে একটি নতুন মোবাইল ও সর্বোচ্চ দুটি ব্যবহৃত মোবাইল আনতে পারবেন, তবে বৈধ আমদানি শুল্ক ও বিটিআরসির শর্ত পূরণ করা বাধ্যতামূলক।

দেশে মোবাইল ফোনের চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে কাস্টমসের অসাধু কর্মকর্তা ও চোরাচালান চক্র ডেলিভারি গেট-১ কে চোরাচালানের রুট বানিয়ে দিয়েছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, প্রতিদিন চীন, হংকং, দুবাই, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আড়াই থেকে তিন হাজার মোবাইল ফোন মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে শুল্ক ছাড়াই খালাস দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে সরকারের দৈনিক ৬–৭ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে এবং বৈধ আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এছাড়া কমার্সিয়াল চালানের আড়ালে ইলেকট্রিক সিগারেট, সেক্স টয়, পুরাতন ল্যাপটপ, মাদকদ্রব্য, মেডিসিন, ড্রোন ও ওয়াকিটকি চোরাচালান হচ্ছে। অভিযোগ অনুযায়ী, এই ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্মকর্তারা রাজস্ব ফাঁকির মোট অঙ্কের ৬০ শতাংশ কমিশন হিসেবে ঘুষ নিচ্ছেন