ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির পথে থাই-কম্বোডিয়া

- আপডেট সময় : ১২:৩৪:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
- / 137

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উত্তপ্ত সীমান্ত সংঘাতে নতুন গতি এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান গোলাগুলি ও সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তিনি নিজেই দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা বলেছেন এবং দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
ট্রুথ এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানিয়েছেন, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার “গঠনমূলক” আলাপ হয়েছে। তিনি লেখেন, “উভয় দেশই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে একমত হয়েছে।”
ট্রাম্পের দাবি, দুই দেশের নেতারা আবারও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা শুরু করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে ট্রাম্প পরিষ্কার করে দিয়েছেন, “যতক্ষণ সংঘর্ষ বন্ধ না হয়, ততক্ষণ সে আলোচনা এগোবে না।”
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে সংঘর্ষ বেড়ে চলেছে। মূলত বিতর্কিত ‘প্রাহ ভিহেয়ার’ মন্দির এলাকা ঘিরেই নতুন করে গোলাগুলির সূত্রপাত। এতে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন সেনা ও বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সীমান্তজুড়ে সেনা মোতায়েন ও নজরদারি বাড়িয়েছে দুই দেশই।
জাতিসংঘ এবং আসিয়ানভুক্ত রাষ্ট্রগুলো ইতোমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এই সংঘর্ষ ঘিরে। ঠিক এমন সময়েই ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কূটনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ট্রাম্প আরও বলেন, “এই দুই জাতির সঙ্গে কাজ করাটা সম্মানের। তাদের সংস্কৃতি ও ইতিহাস সমৃদ্ধ। আমি বিশ্বাস করি, তারা ভবিষ্যতেও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে চলতে পারবে।”
উভয় দেশ রাজি হয়েছে দ্রুত এক বৈঠকে বসে যুদ্ধবিরতির কাঠামো নির্ধারণে। একইসঙ্গে, ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের বিষয়েও কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই উদ্যোগ কেবল ব্যক্তিগত ইমেজ নির্মাণের অংশ নয়, বরং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি কৌশল হিসেবেও দেখা যেতে পারে।
তবে বাস্তবিক যুদ্ধবিরতি কতটা সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়, সেটি নির্ভর করবে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার আন্তরিকতা এবং মুদ্রানীতির পাশাপাশি ভৌগোলিক বাস্তবতা ও সামরিক চাপ সামলানোর কৌশলের ওপর।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই সংঘর্ষ নিয়ে এখন আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সবাই তাকিয়ে আছে—ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ সত্যিই কি শান্তি বয়ে আনবে, নাকি এটি আরেকটি কূটনৈতিক শোরগোল হয়েই থেকে যাবে?