চাঁদাবাজির অভিযোগে নাহিদ ইসলামের সহযোগী গ্রেপ্তার

- আপডেট সময় : ১২:২৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
- / 141

গুলশানের অভিজাত এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে শনিবার বিকেলে গ্রেপ্তার হয়েছে পাঁচজন, যারা নিজেদের একটি ছাত্র সংগঠনের “সমন্বয়ক” হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, তারা এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিল এবং ইতোমধ্যে ১০ লাখ টাকা গ্রহণও করে। বাকি অর্থ তুলতে গিয়ে পুলিশের ফাঁদে ধরা পড়ে তারা।
এই ঘটনায় যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে দাবি, তার নাম আব্দুর রাজ্জাক বিন সোলায়মান রিয়াদ। তিনি “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন”-এর ঢাকা মহানগর শাখার সিনিয়র সংগঠক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে রিয়াদের একাধিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও পোস্ট, যেখানে তাকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখা গেছে নাহিদ ইসলাম নামের আরেক রাজনৈতিক কর্মীর সঙ্গে।
রিয়াদ নিয়মিত নাহিদ ইসলামকে “কমরেড” বলে সম্বোধন করতেন এবং রাজনৈতিক আদর্শে তার অনুসারী বলেও লিখেছেন একাধিকবার। তাদের একসঙ্গে তোলা বহু ছবি ঘুরছে এখন ফেসবুক ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে।
অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন—এত ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থাকার পরও নাহিদ ইসলাম কি এই চক্রের কর্মকাণ্ড থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিলেন? কিংবা, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি’ পরিচয়ধারী কেউ কীভাবে এমন একটি মামলায় প্রধান অভিযুক্ত হতে পারেন?
বিষয়টি ঘিরে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার জল্পনা এখন আরও তীব্র। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনা কেবল সাধারণ অপরাধ নয়—এটি ছাত্র রাজনীতির নামে গড়ে ওঠা একটি সুবিধাবাদী নেটওয়ার্কের দৃষ্টান্তও হতে পারে। অনেকেই চাইছেন, বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করা হোক, যাতে প্রয়োজন হলে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকদেরও বিচারের আওতায় আনা যায়।
এই মুহূর্তে রিয়াদ ও তার সহযোগীরা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন এবং মামলার প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্তে নাহিদ ইসলামের সম্পৃক্ততা থাকলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে—এমনটিও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সূত্র।