ঢাকা ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পূর্বের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবার দায়িত্বে থাকছেন না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারুণ্যের অঙ্গীকারে প্রবাসী নেতৃত্ব—জাপান কানসাই ইউনিট জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত নরসিংদীর আশিক খন্দকার বিমানবন্দরে সোহেল তাজের বিদেশযাত্রায় বাধা শ্যামনগরের ৭০ মণ্ডপে তারেক রহমানের আর্থিক উপহার নির্বাচন নিয়ে ‘নীলনকশা’ হলে জনগণ ছেড়ে দেবে না লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

গাজার অবস্থা ভয়াবহ, খাবার না পেয়ে মরছে মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:২৮:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
  • / 147

গাজার অবস্থা ভয়াবহ, খাবার না পেয়ে মরছে মানুষ

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। একদিকে বিমান হামলায় প্রাণহানি, অন্যদিকে চরম খাদ্যাভাব ও অপুষ্টিতে মৃত্যু হচ্ছে নিরীহ মানুষের। শনিবার (২৬ জুলাই) গাজায় অন্তত ৭১ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪২ জনই ছিলেন মানবিক সহায়তার অপেক্ষায় থাকা সাধারণ মানুষ। আজ রোববার (২৭ জুলাই) আবারও গাজায় বোমাবর্ষণ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

জাতিসংঘের হিসাবে, চলমান এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৯ হাজার ৭৩৩ জন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭৭ জন। আর চরম খাদ্যাভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত পাঁচজন ফিলিস্তিনি—যাদের মধ্যে রয়েছে শিশুও—পুষ্টিহীনতায় মারা গেছেন।

এর মধ্যেই ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করতে আসা আন্তর্জাতিক ত্রাণবহর ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’র একটি জাহাজ হান্দালা আটক করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। জাহাজটির ২১ জন ক্রুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফ্লোটিলাটি অবরুদ্ধ গাজার দিকে মানবিক সহায়তা নিয়ে এগোচ্ছিল।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইসরায়েল যে অল্প কিছু ত্রাণ বিমান থেকে ফেলা শুরু করেছে, সেটি একটি প্রহসন। গাজার মানুষ এখন খাদ্যের অভাবে মরছে। ইসরায়েলের উচিত এখনই স্থলপথ খুলে দেওয়া, যাতে প্রয়োজনীয় খাবার এবং ওষুধ প্রবেশ করতে পারে।

তথ্যমতে, ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের সূত্রপাত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর হয়। সেদিন ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০ জনের বেশি জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকেই চলছে টানা হামলা, অবরোধ ও মানবিক বিপর্যয়।

বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংগঠন ও বহু দেশের সরকার ইসরায়েলের এই আগ্রাসনের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। তবে কোনো কার্যকর আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ না থাকায় পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজার অবস্থা ভয়াবহ, খাবার না পেয়ে মরছে মানুষ

আপডেট সময় : ০৯:২৮:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। একদিকে বিমান হামলায় প্রাণহানি, অন্যদিকে চরম খাদ্যাভাব ও অপুষ্টিতে মৃত্যু হচ্ছে নিরীহ মানুষের। শনিবার (২৬ জুলাই) গাজায় অন্তত ৭১ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪২ জনই ছিলেন মানবিক সহায়তার অপেক্ষায় থাকা সাধারণ মানুষ। আজ রোববার (২৭ জুলাই) আবারও গাজায় বোমাবর্ষণ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

জাতিসংঘের হিসাবে, চলমান এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৯ হাজার ৭৩৩ জন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭৭ জন। আর চরম খাদ্যাভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত পাঁচজন ফিলিস্তিনি—যাদের মধ্যে রয়েছে শিশুও—পুষ্টিহীনতায় মারা গেছেন।

এর মধ্যেই ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করতে আসা আন্তর্জাতিক ত্রাণবহর ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’র একটি জাহাজ হান্দালা আটক করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। জাহাজটির ২১ জন ক্রুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফ্লোটিলাটি অবরুদ্ধ গাজার দিকে মানবিক সহায়তা নিয়ে এগোচ্ছিল।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইসরায়েল যে অল্প কিছু ত্রাণ বিমান থেকে ফেলা শুরু করেছে, সেটি একটি প্রহসন। গাজার মানুষ এখন খাদ্যের অভাবে মরছে। ইসরায়েলের উচিত এখনই স্থলপথ খুলে দেওয়া, যাতে প্রয়োজনীয় খাবার এবং ওষুধ প্রবেশ করতে পারে।

তথ্যমতে, ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের সূত্রপাত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর হয়। সেদিন ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০ জনের বেশি জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকেই চলছে টানা হামলা, অবরোধ ও মানবিক বিপর্যয়।

বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংগঠন ও বহু দেশের সরকার ইসরায়েলের এই আগ্রাসনের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। তবে কোনো কার্যকর আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ না থাকায় পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা