ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী মাদাগাস্কারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, স্বজনদের আহাজারি বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে রোম গেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পূর্বের নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবার দায়িত্বে থাকছেন না: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারুণ্যের অঙ্গীকারে প্রবাসী নেতৃত্ব—জাপান কানসাই ইউনিট জাতীয়তাবাদী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত নরসিংদীর আশিক খন্দকার বিমানবন্দরে সোহেল তাজের বিদেশযাত্রায় বাধা শ্যামনগরের ৭০ মণ্ডপে তারেক রহমানের আর্থিক উপহার নির্বাচন নিয়ে ‘নীলনকশা’ হলে জনগণ ছেড়ে দেবে না লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক গ্রেপ্তার

পেন্টাগনের স্বীকারোক্তি

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়নি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৫:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • / 77

ডোনাল্ড ট্রাম্প

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মার্কিন সামরিক বাহিনীর শনিবার (২১ জুন) মধ্যরাতে পরিচালিত ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’-এ ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হলেও সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়নি বলে স্বীকার করেছে পেন্টাগন।

রোববার (২২ জুন) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা দেওয়া। তিনি জানান, “ফোরদো পরমাণু স্থাপনাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি। ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটানো সম্ভব হয়েছে, কিন্তু তা নির্মূল করা যায়নি।”

হেগসেথ আরও বলেন, “এই অভিযান শেষ হয়েছে। এটি ছিল একটি সুনির্দিষ্ট এবং সীমিত প্রতিক্রিয়া—ইরানের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের জবাবে এবং ইসরায়েলের সুরক্ষার জন্য।” তিনি ইঙ্গিত দেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানে সরকার পরিবর্তনের জন্য এই হামলা চালায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ

এই মন্তব্য স্পষ্ট করে যে যুক্তরাষ্ট্র বড় পরিসরের খোলামেলা যুদ্ধের বদলে একটি নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়ার কৌশল নিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, পেন্টাগনের বক্তব্য একটি দ্ব্যর্থক বার্তা বহন করছে—একদিকে যুদ্ধ নয়, অন্যদিকে সতর্কবার্তা স্পষ্ট।

তবে ইরানের প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটাই এখন মূল প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইরান দাবি করেছে, হামলার প্রভাব সীমিত, তাদের পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আর পেন্টাগনের স্বীকারোক্তি বোঝায়, যুক্তরাষ্ট্রও জানে, প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা রয়ে গেছে।

এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়বে নাকি কমবে, তা নির্ভর করছে তেহরানের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পেন্টাগনের স্বীকারোক্তি

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়নি

আপডেট সময় : ১২:১৫:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

মার্কিন সামরিক বাহিনীর শনিবার (২১ জুন) মধ্যরাতে পরিচালিত ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’-এ ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হলেও সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়নি বলে স্বীকার করেছে পেন্টাগন।

রোববার (২২ জুন) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা দেওয়া। তিনি জানান, “ফোরদো পরমাণু স্থাপনাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি। ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটানো সম্ভব হয়েছে, কিন্তু তা নির্মূল করা যায়নি।”

হেগসেথ আরও বলেন, “এই অভিযান শেষ হয়েছে। এটি ছিল একটি সুনির্দিষ্ট এবং সীমিত প্রতিক্রিয়া—ইরানের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের জবাবে এবং ইসরায়েলের সুরক্ষার জন্য।” তিনি ইঙ্গিত দেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানে সরকার পরিবর্তনের জন্য এই হামলা চালায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ

এই মন্তব্য স্পষ্ট করে যে যুক্তরাষ্ট্র বড় পরিসরের খোলামেলা যুদ্ধের বদলে একটি নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়ার কৌশল নিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, পেন্টাগনের বক্তব্য একটি দ্ব্যর্থক বার্তা বহন করছে—একদিকে যুদ্ধ নয়, অন্যদিকে সতর্কবার্তা স্পষ্ট।

তবে ইরানের প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটাই এখন মূল প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইরান দাবি করেছে, হামলার প্রভাব সীমিত, তাদের পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আর পেন্টাগনের স্বীকারোক্তি বোঝায়, যুক্তরাষ্ট্রও জানে, প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা রয়ে গেছে।

এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়বে নাকি কমবে, তা নির্ভর করছে তেহরানের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর।