ঢাকা ১১:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মারামারি থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবদল নেতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৪:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
  • / 50

মারামারি থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবদল নেতার

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় কিশোরদের মারামারি থামাতে গিয়ে মুহাম্মদ আলমগীর (৪৫) নামের এক যুবদল নেতা প্রাণ হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাতে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত আলমগীর উরকিরচর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি গ্রাম ছেড়ে থাকতে বাধ্য হন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর তিনি গ্রামে ফিরে আসেন এবং একটি মুরগি বিক্রির দোকান চালু করেন। ঘটনার দিন রাতেও তিনি দোকানে ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মারামারিতে জড়িত কিশোরদের বয়স আনুমানিক ১৪ থেকে ১৬ বছর। প্রায় ১৫ জন কিশোর ওই সংঘাতে জড়িত ছিল। আলমগীর সেখানে উপস্থিত হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় একজন কিশোর তার বুকে ঘুষি মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতাল হয়ে নগরের আরেকটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, “ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘুষির আঘাতের বিষয়টি জানিয়েছে। তবে এখনো নিহতের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।”

তিনি আরও জানান, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে হৃদরোগজনিত কারণে মৃত্যুর কথা বলেছে। তদন্ত চলছে। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মারামারি থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবদল নেতার

আপডেট সময় : ০৪:১৪:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় কিশোরদের মারামারি থামাতে গিয়ে মুহাম্মদ আলমগীর (৪৫) নামের এক যুবদল নেতা প্রাণ হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাতে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত আলমগীর উরকিরচর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি গ্রাম ছেড়ে থাকতে বাধ্য হন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর তিনি গ্রামে ফিরে আসেন এবং একটি মুরগি বিক্রির দোকান চালু করেন। ঘটনার দিন রাতেও তিনি দোকানে ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মারামারিতে জড়িত কিশোরদের বয়স আনুমানিক ১৪ থেকে ১৬ বছর। প্রায় ১৫ জন কিশোর ওই সংঘাতে জড়িত ছিল। আলমগীর সেখানে উপস্থিত হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় একজন কিশোর তার বুকে ঘুষি মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতাল হয়ে নগরের আরেকটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, “ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘুষির আঘাতের বিষয়টি জানিয়েছে। তবে এখনো নিহতের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।”

তিনি আরও জানান, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে হৃদরোগজনিত কারণে মৃত্যুর কথা বলেছে। তদন্ত চলছে। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”