শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

- আপডেট সময় : ০১:৪৮:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
- / 31

আদালত অবমাননার মামলায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশত্যাগ করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬ মাসের ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ (বুধবার) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
আইন অনুযায়ী এ ধরনের মামলায় সরকারি খরচে আইনজীবী নিয়োগের বিধান না থাকলেও ন্যায়বিচারের স্বার্থে ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার পক্ষে একজন আইনজীবী নিয়োগের নির্দেশ দেয়।
অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ প্রসঙ্গে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বলেন, “আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানির জন্য শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ করেছে ট্রাইব্যুনাল।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থান-সংক্রান্ত মামলায় দেওয়া এক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা ও শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেন চিফ প্রসিকিউটর। গত ৩০ এপ্রিল ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গ্রহণ করে এবং ১৫ মের মধ্যে তাদের জবাব দিতে নির্দেশ দেয়। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও তারা কোনো জবাব দেননি, ফলে ট্রাইব্যুনাল ২৫ মে তাদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, একটি অডিও বার্তায় শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়: “আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।” এই অডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ফরেনসিক বিশ্লেষণে সেটির সত্যতা নিশ্চিত করে। এরপরই আদালত অবমাননার অভিযোগ জমা পড়ে।
প্রসিকিউশন জানিয়েছে, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও শেখ হাসিনা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হননি বা কোনো ব্যাখ্যা প্রদান করেননি। ফলে আইন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল এখন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।