গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় মাইক্রোসফটসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা করছে

- আপডেট সময় : ০৩:৪৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
- / 47

গাজা ও অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে চলমান সহিংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে একাধিক বহুজাতিক করপোরেট প্রতিষ্ঠানের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রানচেসকা আলবানিজের নতুন এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কিছু প্রযুক্তি, অস্ত্র ও বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলের সামরিক কার্যক্রম ও অবকাঠামোগত দখলদার নীতির সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কের মাধ্যমে লাভবান হচ্ছে।
প্রতিবেদনে ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যারা সরাসরি নয়তো পরোক্ষভাবে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মাইক্রোসফট, গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট, অ্যামাজন, লকহিড মার্টিন, ক্যাটারপিলার এবং পালানটিয়ার টেকনোলজিসসহ আরও অনেকে। এদের প্রযুক্তি ও পণ্য ব্যবহার হচ্ছে নজরদারি, সামরিক কার্যক্রম এবং অবকাঠামো নির্মাণে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের সামরিক ও গোয়েন্দা বাহিনী এসব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ক্লাউড সেবা এবং নজরদারি সরঞ্জাম ব্যবহার করছে। একইসঙ্গে, কিছু নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অবৈধ বসতিতে অবকাঠামো নির্মাণে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান যেমন ব্ল্যাকরক ও ভ্যানগার্ড—এই করপোরেট কার্যক্রমে পুঁজি সরবরাহ করে আসছে, যা এই অর্থনৈতিক কাঠামোকে আরও সুসংহত করেছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব ব্যবসায়িক সম্পর্ক শুধু আর্থিক লেনদেন নয়, বরং আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় মূল্যায়নের যোগ্য। মানবাধিকার রক্ষায় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোরও দায়িত্ব রয়েছে এবং যারা সরবরাহ চেইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
প্রতিবেদনটি আগামী বৃহস্পতিবার জেনেভায় আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করা হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, তারা যেন অবিলম্বে ইসরায়েলের দখলদার কার্যক্রম থেকে নিজেদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে।