ঢাকা ১১:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলিরা কেন দল বেঁধে দেশে ছেড়ে পালাচ্ছেন ?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৩৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / 32
দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০ মাস ধরে গাজায় অবিরাম বোমাবর্ষণ চলছে। পুরো গাজাকে অবরুদ্ধ করে চালানো হচ্ছে নির্মম গণহত্যা। এমনকি ত্রাণের লাইনে দাঁড়ানো মানুষদেরও গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। এত নিপীড়নের মধ্যেও ফিলিস্তিনিরা গাজা আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে ইরানের পাল্টা আঘাত ইসরায়েলে ভয়াবহ আতঙ্ক তৈরি করেছে। ফলে ইসরায়েলি ইহুদিদের মধ্যে আবারও দেশ ছাড়ার প্রবণতা বাড়ছে। নাগরিক, দ্বৈত নাগরিক ও পর্যটকেরা ‘রেসকিউ ফ্লাইট’ ও ‘এস্কেপ শিপ’ ধরার চেষ্টা করছেন, যদিও ইসরায়েল সরকার এতে বাধা দিচ্ছে।

এ ধরনের দেশত্যাগের প্রবণতা নতুন নয়। ২০২২ সালে ইসরায়েলি পত্রিকা ‘মারিভ’ জানিয়েছিল, ‘চলো দেশ ছাড়ি একসঙ্গে’ নামের একটি গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার ইহুদি পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল। এই উদ্যোগের পেছনে ছিলেন নেতানিয়াহুবিরোধী কর্মী ইয়ানিভ গোরেলিক ও ইসরায়েলি-মার্কিন ব্যবসায়ী মোর্দিখাই কাহানা।

মোর্দিখাই কাহানা বলেন, “অনেকেই রোমানিয়া বা গ্রিসে যেতে চাইছেন, তবে আমি বলি, যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া সহজ। আমার নিউ জার্সিতে একটি খামার আছে, চাইলে সবাই মিলে সেখানে কিবুতজ গড়ে তুলতে পারি।”

অনেক ইসরায়েলি বিশ্বাস করেন, দেশের রাজনীতি ও সমাজব্যবস্থা এখন টেকসই নয়। একদিন হয়তো ইহুদিরা আর সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে না। তাই অনেকেই নিরাপদ ভবিষ্যতের আশায় অন্য দেশে চলে যেতে চান।

ইসরায়েলি সরকারের হিসাব অনুযায়ী, ২০০৩ সালেই প্রায় ৭.৫ লাখ ইসরায়েলি স্থায়ীভাবে দেশের বাইরে বসবাস শুরু করেছিলেন—অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ইসরায়েলিরা কেন দল বেঁধে দেশে ছেড়ে পালাচ্ছেন ?

আপডেট সময় : ১১:৩৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

২০ মাস ধরে গাজায় অবিরাম বোমাবর্ষণ চলছে। পুরো গাজাকে অবরুদ্ধ করে চালানো হচ্ছে নির্মম গণহত্যা। এমনকি ত্রাণের লাইনে দাঁড়ানো মানুষদেরও গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। এত নিপীড়নের মধ্যেও ফিলিস্তিনিরা গাজা আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে ইরানের পাল্টা আঘাত ইসরায়েলে ভয়াবহ আতঙ্ক তৈরি করেছে। ফলে ইসরায়েলি ইহুদিদের মধ্যে আবারও দেশ ছাড়ার প্রবণতা বাড়ছে। নাগরিক, দ্বৈত নাগরিক ও পর্যটকেরা ‘রেসকিউ ফ্লাইট’ ও ‘এস্কেপ শিপ’ ধরার চেষ্টা করছেন, যদিও ইসরায়েল সরকার এতে বাধা দিচ্ছে।

এ ধরনের দেশত্যাগের প্রবণতা নতুন নয়। ২০২২ সালে ইসরায়েলি পত্রিকা ‘মারিভ’ জানিয়েছিল, ‘চলো দেশ ছাড়ি একসঙ্গে’ নামের একটি গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার ইহুদি পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল। এই উদ্যোগের পেছনে ছিলেন নেতানিয়াহুবিরোধী কর্মী ইয়ানিভ গোরেলিক ও ইসরায়েলি-মার্কিন ব্যবসায়ী মোর্দিখাই কাহানা।

মোর্দিখাই কাহানা বলেন, “অনেকেই রোমানিয়া বা গ্রিসে যেতে চাইছেন, তবে আমি বলি, যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া সহজ। আমার নিউ জার্সিতে একটি খামার আছে, চাইলে সবাই মিলে সেখানে কিবুতজ গড়ে তুলতে পারি।”

অনেক ইসরায়েলি বিশ্বাস করেন, দেশের রাজনীতি ও সমাজব্যবস্থা এখন টেকসই নয়। একদিন হয়তো ইহুদিরা আর সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে না। তাই অনেকেই নিরাপদ ভবিষ্যতের আশায় অন্য দেশে চলে যেতে চান।

ইসরায়েলি সরকারের হিসাব অনুযায়ী, ২০০৩ সালেই প্রায় ৭.৫ লাখ ইসরায়েলি স্থায়ীভাবে দেশের বাইরে বসবাস শুরু করেছিলেন—অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়।