ঢাকা ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো: ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:২৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / 40

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আশুলিয়ায় সংঘটিত গুলিবর্ষণ ও লাশ পোড়ানোর ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে প্রসিকিউশন।

বুধবার (২ জুলাই) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দেওয়া হয়।

এর আগে, গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে সাতজনকে প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন—পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ হিল কাফি, শহিদুল ইসলাম এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সাবেক সদস্যরা। প্রসিকিউশনের তথ্যমতে, মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৯ জুন তাদের হাতে পৌঁছায় এবং প্রাথমিকভাবে ১১ জন আসামির নাম প্রকাশ করা হয়।

মামলায় যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে: সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ হিল কাফি, আশুলিয়া থানার সাবেক ওসি এ এফ এম সায়েদ (রনি), ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, সাবেক এসআই আবদুল মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দীন, এসআই শেখ আবজালুল হক, এসআই বিশ্বজিৎ সাহা, এসআই কামরুল হাসান এবং কনস্টেবল মুকুল চোকদার।

এই ১১ জন ছাড়াও আরও ৫ জনের সম্পৃক্ততা উঠে এসেছে তদন্তে। মোট ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা চলমান রয়েছে। এদের মধ্যে ৮ জন বর্তমানে কারাগারে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে আশুলিয়া থানার সামনে আন্দোলনরত ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং একজন গুরুতর আহত হন। পরে নিহত ও আহতদের পুলিশ একটি ভ্যানে করে নিয়ে যায়। এরপর একটি গাড়ির ভেতরেই তাদের গায়ে পেট্রোল ছড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন: সাজ্জাদ হোসেন (সজল), আস সাবুর, তানজীল মাহমুদ সুজয়, বায়েজিদ বুস্তামি, আবুল হোসেন এবং একজন অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি।

ঘটনার পর ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তে এই ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং মানবতা-বিরোধী অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো: ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

আপডেট সময় : ০১:২৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আশুলিয়ায় সংঘটিত গুলিবর্ষণ ও লাশ পোড়ানোর ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে প্রসিকিউশন।

বুধবার (২ জুলাই) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দেওয়া হয়।

এর আগে, গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে সাতজনকে প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন—পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ হিল কাফি, শহিদুল ইসলাম এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সাবেক সদস্যরা। প্রসিকিউশনের তথ্যমতে, মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৯ জুন তাদের হাতে পৌঁছায় এবং প্রাথমিকভাবে ১১ জন আসামির নাম প্রকাশ করা হয়।

মামলায় যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে: সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ হিল কাফি, আশুলিয়া থানার সাবেক ওসি এ এফ এম সায়েদ (রনি), ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, সাবেক এসআই আবদুল মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দীন, এসআই শেখ আবজালুল হক, এসআই বিশ্বজিৎ সাহা, এসআই কামরুল হাসান এবং কনস্টেবল মুকুল চোকদার।

এই ১১ জন ছাড়াও আরও ৫ জনের সম্পৃক্ততা উঠে এসেছে তদন্তে। মোট ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা চলমান রয়েছে। এদের মধ্যে ৮ জন বর্তমানে কারাগারে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে আশুলিয়া থানার সামনে আন্দোলনরত ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং একজন গুরুতর আহত হন। পরে নিহত ও আহতদের পুলিশ একটি ভ্যানে করে নিয়ে যায়। এরপর একটি গাড়ির ভেতরেই তাদের গায়ে পেট্রোল ছড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন: সাজ্জাদ হোসেন (সজল), আস সাবুর, তানজীল মাহমুদ সুজয়, বায়েজিদ বুস্তামি, আবুল হোসেন এবং একজন অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি।

ঘটনার পর ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তে এই ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং মানবতা-বিরোধী অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।