ঢাকা ০১:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধান উপদেষ্টা

স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই যেন তাকে বিনাশ করতে পারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:১৫:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • / 34

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্বৈরাচারের প্রাথমিক লক্ষণ দেখামাত্রই যেন তা দমন করা যায়—এই আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “এই হোক জুলাইয়ের শিক্ষা।”

মঙ্গলবার (১ জুলাই) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “গত বছরের এই জুলাই মাসে শিক্ষার্থীরা যে অভ্যুত্থানের সূচনা করেছিল, তা ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এক যুগান্তকারী অধ্যায়। ওই আন্দোলনের মূল বক্তব্য ছিল—ফ্যাসিবাদের বিলুপ্তি এবং রাষ্ট্রকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া।”

তিনি আরও বলেন, “এই সময়টি শুধু আবেগ নয়, বরং এটা আমাদের দায়বদ্ধতা। আমরা যেন আর ১৬ বছর অপেক্ষা না করি। যেন নতুন করে অভ্যুত্থান প্রয়োজন না পড়ে। সেই লক্ষ্যে প্রতি বছর এই সময়টিকে স্মরণ করবো। স্বৈরাচারের প্রথম চিহ্ন দেখলেই যেন আমরা ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়তে পারি।”

প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, জুলাই-আগস্টের কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে জনগণের ঐক্য আরও সুসংহত হবে এবং নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন আবার প্রাণ ফিরে পাবে।

সরকার ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত “জুলাই স্মৃতি উদ্‌যাপন” মাসব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। কর্মসূচির প্রথম দিনেই দেশজুড়ে ধর্মীয় উপাসনালয়ে দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে, শহীদদের স্মরণে ক্যালেন্ডার প্রকাশ ও গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু হয়েছে। এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে চালু হচ্ছে একটি শিক্ষাবৃত্তি কর্মসূচি।

অনুষ্ঠানমালার শেষ দিন ৫ আগস্ট, যা “৩৬ জুলাই” নামে চিহ্নিত, পালন করা হবে বিজয় মিছিল, এয়ার শো, স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন, শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তথ্যচিত্র ও ড্রোন শোর মতো নানা আয়োজনে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। ঐতিহাসিক এই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকেই “জুলাই বিপ্লব” বা “জুলাই গণঅভ্যুত্থান” নামে চিহ্নিত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা

স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই যেন তাকে বিনাশ করতে পারি

আপডেট সময় : ০১:১৫:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

স্বৈরাচারের প্রাথমিক লক্ষণ দেখামাত্রই যেন তা দমন করা যায়—এই আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “এই হোক জুলাইয়ের শিক্ষা।”

মঙ্গলবার (১ জুলাই) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “গত বছরের এই জুলাই মাসে শিক্ষার্থীরা যে অভ্যুত্থানের সূচনা করেছিল, তা ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এক যুগান্তকারী অধ্যায়। ওই আন্দোলনের মূল বক্তব্য ছিল—ফ্যাসিবাদের বিলুপ্তি এবং রাষ্ট্রকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া।”

তিনি আরও বলেন, “এই সময়টি শুধু আবেগ নয়, বরং এটা আমাদের দায়বদ্ধতা। আমরা যেন আর ১৬ বছর অপেক্ষা না করি। যেন নতুন করে অভ্যুত্থান প্রয়োজন না পড়ে। সেই লক্ষ্যে প্রতি বছর এই সময়টিকে স্মরণ করবো। স্বৈরাচারের প্রথম চিহ্ন দেখলেই যেন আমরা ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়তে পারি।”

প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, জুলাই-আগস্টের কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে জনগণের ঐক্য আরও সুসংহত হবে এবং নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন আবার প্রাণ ফিরে পাবে।

সরকার ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত “জুলাই স্মৃতি উদ্‌যাপন” মাসব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। কর্মসূচির প্রথম দিনেই দেশজুড়ে ধর্মীয় উপাসনালয়ে দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে, শহীদদের স্মরণে ক্যালেন্ডার প্রকাশ ও গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু হয়েছে। এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে চালু হচ্ছে একটি শিক্ষাবৃত্তি কর্মসূচি।

অনুষ্ঠানমালার শেষ দিন ৫ আগস্ট, যা “৩৬ জুলাই” নামে চিহ্নিত, পালন করা হবে বিজয় মিছিল, এয়ার শো, স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন, শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তথ্যচিত্র ও ড্রোন শোর মতো নানা আয়োজনে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। ঐতিহাসিক এই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকেই “জুলাই বিপ্লব” বা “জুলাই গণঅভ্যুত্থান” নামে চিহ্নিত করা হয়।