ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে কী ঘটেছিল, ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় কিভাবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা
  • আপডেট সময় : ০১:০৩:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • / 40

মুরাদনগরে কী ঘটেছিল, ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় কিভাবে?

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ঘরের দরজা ভেঙে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি রোববার (২৯ জুন) সকালে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।

গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন সেদিন কী ঘটেছিল এবং কিভাবে পরিচয় হয়েছিল ফজর আলীর সাথে ওই নারীর।

এদিকে ভুক্তভোগী নারী জানান, প্রায় ১৫ দিন আগে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ফজর আলী নামের এক ব্যক্তি ঘরের দরজায় এসে ডাকাডাকি করেন। দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি জোর করে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ধর্ষণ করেন।

ওই নারীর ভাষ্যমতে, ফজর আলীর সঙ্গে তাদের পারিবারিক পরিচয় গড়ে ওঠে কিছুদিন আগে, পারস্পরিক আর্থিক লেনদেনের সূত্র ধরে। সেই পরিচয় কাজে লাগিয়েই ফজর আলী তার বাড়িতে প্রবেশ করেন।

পাশের বাড়ির এক বাসিন্দা জানান, “রাতে ঘর থেকে চিৎকার ও শব্দ শুনে ভয় পেয়ে আমি লোকজন ডেকে আনি। পরে গিয়ে দেখি দরজা ভাঙা। ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।”

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ঘটনার সময় ফজর আলীকে ধরে মারধর করা হয় এবং পরে তাকে কুমিল্লার এক হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে সেখান থেকে তিনি পালিয়ে যান। পুলিশের অভিযানে পরে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। কুমিল্লা জেলা পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ধর্ষণের ঘটনার পর স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ভুক্তভোগী নারীর ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় পুলিশ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে এবং ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।

কুমিল্লা জেলা পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ২৬ জুন রাতে রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে এবং মারধরের শিকার হন। পরবর্তীতে আহত অবস্থায় পালিয়ে গেলেও অবশেষে তাকে আটক করা সম্ভব হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মুরাদনগরে কী ঘটেছিল, ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় কিভাবে?

আপডেট সময় : ০১:০৩:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ঘরের দরজা ভেঙে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি রোববার (২৯ জুন) সকালে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।

গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন সেদিন কী ঘটেছিল এবং কিভাবে পরিচয় হয়েছিল ফজর আলীর সাথে ওই নারীর।

এদিকে ভুক্তভোগী নারী জানান, প্রায় ১৫ দিন আগে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ফজর আলী নামের এক ব্যক্তি ঘরের দরজায় এসে ডাকাডাকি করেন। দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি জোর করে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ধর্ষণ করেন।

ওই নারীর ভাষ্যমতে, ফজর আলীর সঙ্গে তাদের পারিবারিক পরিচয় গড়ে ওঠে কিছুদিন আগে, পারস্পরিক আর্থিক লেনদেনের সূত্র ধরে। সেই পরিচয় কাজে লাগিয়েই ফজর আলী তার বাড়িতে প্রবেশ করেন।

পাশের বাড়ির এক বাসিন্দা জানান, “রাতে ঘর থেকে চিৎকার ও শব্দ শুনে ভয় পেয়ে আমি লোকজন ডেকে আনি। পরে গিয়ে দেখি দরজা ভাঙা। ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।”

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ঘটনার সময় ফজর আলীকে ধরে মারধর করা হয় এবং পরে তাকে কুমিল্লার এক হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে সেখান থেকে তিনি পালিয়ে যান। পুলিশের অভিযানে পরে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। কুমিল্লা জেলা পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ধর্ষণের ঘটনার পর স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ভুক্তভোগী নারীর ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় পুলিশ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে এবং ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।

কুমিল্লা জেলা পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ২৬ জুন রাতে রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে এবং মারধরের শিকার হন। পরবর্তীতে আহত অবস্থায় পালিয়ে গেলেও অবশেষে তাকে আটক করা সম্ভব হয়েছে।