ঢাকা ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরীক্ষা দিতে না পারা সেই শিক্ষার্থীর বিষয়টি বিবেচনায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
  • / 36

পরীক্ষা দিতে না পারা সেই শিক্ষার্থীর বিষয়টি বিবেচনায়

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মায়ের স্ট্রোকের কারণে কেন্দ্রে ঢুকতে দেরি হওয়ায় এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা শিক্ষার্থীর বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল (সিআর) আবরার।

শুক্রবার (২৭ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, মানবিক বিবেচনায় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে এবং পাবলিক পরীক্ষা আইন ও বিধিমালার আলোকে পরীক্ষা গ্রহণের উপায় খোঁজা হচ্ছে।

জানা গেছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীটি বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় অংশ নিতে দেরিতে সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্রে পৌঁছান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের বাইরে আসায় পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি।

তার খালার ভাষ্য, মেয়েটির বাবা নেই, মায়ের স্ট্রোক হওয়ায় তাকেই হাসপাতালে নিতে হয়। হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে দৌড়ে কেন্দ্রে আসেন তিনি, কিন্তু গেটে ঢুকতে পারেননি। কান্নায় ভেঙে পড়া এই শিক্ষার্থীর ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক মাধ্যমে।

অনেকে বলছেন, এটি অদম্য চেষ্টার দৃষ্টান্ত, যেখানে মানবিক ব্যতিক্রম করা যেত। একজন অভিভাবকের মন্তব্য, “মেয়ে কি শখ করে দেরি করেছে? মাকে হাসপাতালে রেখে এসেছে—এটাই তো জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পরীক্ষা দিতে না পারা সেই শিক্ষার্থীর বিষয়টি বিবেচনায়

আপডেট সময় : ০১:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

মায়ের স্ট্রোকের কারণে কেন্দ্রে ঢুকতে দেরি হওয়ায় এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা শিক্ষার্থীর বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল (সিআর) আবরার।

শুক্রবার (২৭ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, মানবিক বিবেচনায় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে এবং পাবলিক পরীক্ষা আইন ও বিধিমালার আলোকে পরীক্ষা গ্রহণের উপায় খোঁজা হচ্ছে।

জানা গেছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীটি বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় অংশ নিতে দেরিতে সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্রে পৌঁছান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের বাইরে আসায় পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি।

তার খালার ভাষ্য, মেয়েটির বাবা নেই, মায়ের স্ট্রোক হওয়ায় তাকেই হাসপাতালে নিতে হয়। হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে দৌড়ে কেন্দ্রে আসেন তিনি, কিন্তু গেটে ঢুকতে পারেননি। কান্নায় ভেঙে পড়া এই শিক্ষার্থীর ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক মাধ্যমে।

অনেকে বলছেন, এটি অদম্য চেষ্টার দৃষ্টান্ত, যেখানে মানবিক ব্যতিক্রম করা যেত। একজন অভিভাবকের মন্তব্য, “মেয়ে কি শখ করে দেরি করেছে? মাকে হাসপাতালে রেখে এসেছে—এটাই তো জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।”