খামেনিকে হত্যাচেষ্টার কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েলি মন্ত্রী

- আপডেট সময় : ০৭:৩৮:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
- / 29

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার ১২ দিনের সংঘাতের সময় আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল বলে স্বীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। চ্যানেল থার্টিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, সংঘাত চলাকালে তারা ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতাকে টার্গেট করেছিলেন, তবে সেই সুযোগ মেলেনি।
কাৎজ বলেন, “খামেনি হামলার আশঙ্কায় ভূগর্ভস্থ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছিলেন এবং ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের নতুন কমান্ডারদের সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলেন।” যদিও এই দাবির পক্ষে নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকে প্রমাণ মেলেনি।
বিশ্লেষকদের মতে, খামেনির ওপর হামলা সংঘাতকে ভয়াবহ রূপ দিতে পারত। কারণ তিনি কেবল ইরানের রাজনৈতিক নেতা নন, বিশ্বজুড়ে শিয়া মুসলমানদের কাছে একজন ধর্মীয় অভিভাবক।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সংঘাতকে ইরানে সরকার পরিবর্তনের সম্ভাবনা হিসেবে দেখেছিলেন। এমনকি ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে লিখেছিলেন—এই সুযোগেই ‘ইরানকে আবার মহান’ করা সম্ভব।
এদিকে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন হামলার বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। ফর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানে আঘাত হানার কথা জানানো হলেও খামেনি বলেছেন, ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ইরান যদি পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় চালু করে, তাহলে আবার হামলা হতে পারে।” তার দাবি, এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের (ডোনাল্ড ট্রাম্পের) সম্মতি রয়েছে।
এ সংঘাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এর আগে ইরান কাতারের আল-উদেইদ ঘাঁটিতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। যুদ্ধ শেষে দুই পক্ষই নিজেদের বিজয়ী দাবি করে। ইসরায়েল বলেছে, এই জয় তাদের নতুন শান্তিচুক্তির পথ খুলে দিয়েছে, আর ইরান বলেছে, তাদের পাল্টা হামলাই নেতানিয়াহুকে যুদ্ধ থামাতে বাধ্য করেছে।