‘মব জাস্টিস’ মানবতার শত্রু: তারেক রহমান

- আপডেট সময় : ০৩:৩৪:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
- / 40

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘মব জাস্টিস’ এখন এক হিংস্র উন্মাদনায় রূপ নিয়েছে, যা মানবতার শত্রু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
২৬ জুন আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রক্তোন্মত্ততা ও সহিংসতা আজ বিশ্বজুড়ে হানাহানি ও রক্তারক্তির জন্ম দিচ্ছে। একনায়কতান্ত্রিক শাসকেরা বিরোধীদের ওপর নির্মম দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। বহু দেশে সাধারণ মানুষের জীবন ও সম্পদ মারাত্মক ঝুঁকির মুখে।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, প্রায় ১৬ বছর ধরে দেশে গণতন্ত্র ছিল বন্দি। আওয়ামী শাসনে রাষ্ট্রব্যবস্থা হয়ে উঠেছিল সর্বগ্রাসী ও দমনমূলক। মতপ্রকাশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ছিল নিয়ন্ত্রিত, মিথ্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রাখা হয়। এমনকি চিকিৎসার অধিকার থেকেও তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী শাসনে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। বিরোধী কণ্ঠকে দমন করতে লেলিয়ে দেওয়া হতো দলীয় বাহিনী। এতে নারী-শিশু-সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে।
তারেক রহমান বলেন, আজ ‘মব জাস্টিস’ নামে একটি হিংস্র প্রবণতা গণতন্ত্র চর্চার পরিবেশ ধ্বংস করছে। এর বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী শক্তির ঐক্যই হতে পারে উত্তরণের পথ।
তিনি আরও বলেন, নির্যাতনবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসটি নিপীড়িতদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বিশ্বে সহিংসতা বন্ধ না হওয়ায় এই দিবসটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তিনি বিশ্বের নির্যাতিতদের প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন, ন্যায়বিচারের পথে প্রতিকূলতা দূর করতে গণতন্ত্রকামী সকল মানুষের ঐক্য প্রয়োজন।
অপর এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ২৬ জুনের আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস হচ্ছে নির্যাতনের শিকারদের প্রতি সংহতি প্রকাশের দিন।
তিনি বলেন, গত বছর জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের দমননীতিতে বহু মানুষ নিহত ও পঙ্গু হন। রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের বিকট রূপ বিশ্ববাসীকে হতবাক করেছে।
ফখরুল বলেন, ১৬ বছর ধরে বিএনপি ও বিরোধী নেতাকর্মীরা গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সরকারের কোনো জবাবদিহিতা ছিল না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করে রাখা হয়েছিল।
তিনি শেষ কথা বলেন, জনগণকে ভয় ও নিপীড়নের মধ্যে রেখে দেশজুড়ে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে দরকার গণতন্ত্রের চর্চা ও সকল নির্যাতিত মানুষের প্রতি সংহতি।