ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোবেলের বিয়ে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে কী বললেন প্রথম স্ত্রী

বিনোদন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩২:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • / 73

নোবেলের বিয়ে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে কী বললেন প্রথম স্ত্রী

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কলেজছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল জামিন পেয়েছেন। গত ১৯ জুন কারাগারে মামলার বাদীকে বিয়ে করার পাঁচ দিনের মাথায় মঙ্গলবার (২৪ জুন) তিনি জামিনে মুক্তি পান।

নোবেলের আইনজীবী জানান, নোবেল বাবা হতে যাচ্ছেন—এ তথ্য আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে জানতে পারেন তিনি।

আইনজীবীর ভাষ্য, নোবেল ও প্রিয়া গত বছর বিয়ে করে একসঙ্গে বসবাস করছিলেন, তবে তখন তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়নি। পরে ভুল বোঝাবুঝি থেকে মামলা হয়। বর্তমানে সেই ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটেছে এবং কারাগারে বসেই গত ১৯ জুন তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

এর আগে নোবেল বিয়ে করেছিলেন সালসাবিল মাহমুদকে, যিনি তার প্রথম স্ত্রী। নোবেলকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বুধবার (২৫ জুন) একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেন সালসাবিল। যদিও তিনি সেখানে নোবেলের নাম উল্লেখ করেননি, তবে ভাষা ও প্রসঙ্গ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, সেই পোস্ট নোবেলকে উদ্দেশ্য করেই লেখা।

সালসাবিল লিখেছেন—“এক ব্যক্তি প্রবাসে গিয়েছিল বউকে বাংলাদেশে রেখে। কোর্ট নাকি নির্দেশ দিয়ে তার বউকে আরেকজনের জামাইয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে, খুবই হাস্যকর! গোপালগঞ্জের মানুষ বলে কথা!”

উল্লেখ্য, নোবেলের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে। এ থেকেই ধারণা আরও শক্ত হয় যে, তিনি নোবেলকেই ইঙ্গিত করেছেন।

সালসাবিলের পোস্টে মন্তব্যের ঘরে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। হ্যাপি আক্তার নামে একজন লিখেছেন,
“কোর্টে নোবেলের পক্ষ থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছে বিবাহের জন্য। এতে দুপক্ষেরই সম্মতি ছিল বিধায় কোর্ট তাদের আবেদন মঞ্জুর করেছে মাত্র। কোর্ট তো আর জানে না। তবে আদালতের কাছে যদি তথ্য গোপন করে অনুমতি চেয়ে থাকে এবং কেউ আপত্তি জানায়, তাহলে অবশ্যই এর শাস্তি হবে।”

ফাতেমা তুজ জোহরা নামে একজন মন্তব্য করেন, “যা হয়েছে, আপনার জন্য ভালো হয়েছে। এই লোকের সাথে থাকলে আপনার জীবন নষ্ট হয়ে যেত।”

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৪ মে পারিবারিক সিদ্ধান্তে নোবেলকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা জানান সালসাবিল। সেদিনই তিনি বিচ্ছেদের কাগজ পাঠান। নোবেলকে তখন ‘প্রাক্তন স্বামী’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক এক গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে সালসাবিল জানান, তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন এবং এখনো তাদের আইনি বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নোবেলের বিয়ে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে কী বললেন প্রথম স্ত্রী

আপডেট সময় : ০৫:৩২:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

কলেজছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল জামিন পেয়েছেন। গত ১৯ জুন কারাগারে মামলার বাদীকে বিয়ে করার পাঁচ দিনের মাথায় মঙ্গলবার (২৪ জুন) তিনি জামিনে মুক্তি পান।

নোবেলের আইনজীবী জানান, নোবেল বাবা হতে যাচ্ছেন—এ তথ্য আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে জানতে পারেন তিনি।

আইনজীবীর ভাষ্য, নোবেল ও প্রিয়া গত বছর বিয়ে করে একসঙ্গে বসবাস করছিলেন, তবে তখন তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়নি। পরে ভুল বোঝাবুঝি থেকে মামলা হয়। বর্তমানে সেই ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটেছে এবং কারাগারে বসেই গত ১৯ জুন তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

এর আগে নোবেল বিয়ে করেছিলেন সালসাবিল মাহমুদকে, যিনি তার প্রথম স্ত্রী। নোবেলকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বুধবার (২৫ জুন) একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেন সালসাবিল। যদিও তিনি সেখানে নোবেলের নাম উল্লেখ করেননি, তবে ভাষা ও প্রসঙ্গ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, সেই পোস্ট নোবেলকে উদ্দেশ্য করেই লেখা।

সালসাবিল লিখেছেন—“এক ব্যক্তি প্রবাসে গিয়েছিল বউকে বাংলাদেশে রেখে। কোর্ট নাকি নির্দেশ দিয়ে তার বউকে আরেকজনের জামাইয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে, খুবই হাস্যকর! গোপালগঞ্জের মানুষ বলে কথা!”

উল্লেখ্য, নোবেলের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে। এ থেকেই ধারণা আরও শক্ত হয় যে, তিনি নোবেলকেই ইঙ্গিত করেছেন।

সালসাবিলের পোস্টে মন্তব্যের ঘরে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। হ্যাপি আক্তার নামে একজন লিখেছেন,
“কোর্টে নোবেলের পক্ষ থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছে বিবাহের জন্য। এতে দুপক্ষেরই সম্মতি ছিল বিধায় কোর্ট তাদের আবেদন মঞ্জুর করেছে মাত্র। কোর্ট তো আর জানে না। তবে আদালতের কাছে যদি তথ্য গোপন করে অনুমতি চেয়ে থাকে এবং কেউ আপত্তি জানায়, তাহলে অবশ্যই এর শাস্তি হবে।”

ফাতেমা তুজ জোহরা নামে একজন মন্তব্য করেন, “যা হয়েছে, আপনার জন্য ভালো হয়েছে। এই লোকের সাথে থাকলে আপনার জীবন নষ্ট হয়ে যেত।”

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৪ মে পারিবারিক সিদ্ধান্তে নোবেলকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা জানান সালসাবিল। সেদিনই তিনি বিচ্ছেদের কাগজ পাঠান। নোবেলকে তখন ‘প্রাক্তন স্বামী’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক এক গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে সালসাবিল জানান, তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন এবং এখনো তাদের আইনি বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়নি।