হুমকিতে পরিবেশ
পান্তশালা ফেরিঘাটে দুর্গন্ধের রাজত্ব: যাতায়াতে ভোগান্তি

- আপডেট সময় : ১২:৫২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
- / 123

নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানাধীন পান্তশালা ফেরিঘাট বর্তমানে চরাঞ্চলের ২৪টি ইউনিয়নের যাতায়াতের একমাত্র নদীপথ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। শুধুমাত্র যাতায়াতই নয়, বর্তমানে এই পান্তশালা ঘাটকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্র। ফলে রায়পুরা থানাসহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন ভ্রমণপিপাসু মানুষজন এখানে আসেন।
তবে দৃশ্যত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝেও গুচ্ছগ্রামের পাশ ঘেঁষে গড়ে ওঠা ময়লার স্তুপ এলাকাবাসী ও যাত্রীদের মধ্যে চরম বিরক্তি ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। রাস্তার পাশে যত্রতত্র ময়লা ফেলে রাখার কারণে প্রতিনিয়ত দূষণ ও দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে মানুষের চলাফেরা। বিশেষ করে শিশু, কিশোর ও বৃদ্ধদের চলাচলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রায়পুরা বাজারসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ময়লা-আবর্জনা এনে এখানে ফেলা হচ্ছে। কোনো নির্দিষ্ট ডাম্পিং জোন বা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় এটি এখন একটি অঘোষিত ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এতে শুধু পরিবেশ নয়, পান্তশালার ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে এই ময়লা ফেলার স্থানটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হোক এবং একটি নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গ্রহণ করুক স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি ভ্রমণপথকে দূষণমুক্ত ও নিরাপদ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “এই রাস্তাটি শুধু আমাদের নয়, পুরো চরাঞ্চলের মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। অথচ প্রতিদিন দুর্গন্ধের মধ্যে দিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে। এটা খুবই কষ্টদায়ক।”
পান্তশালার মতো গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাটে এমন অস্বাস্থ্যকর ও দূষিত পরিবেশ এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যার উৎস। এ প্রসঙ্গে ‘আলোকিত সমাজ, নতুনের সূচনা’ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফারহিন আহমেদ বলেন,
“পান্তশালা ফেরিঘাটে যাতায়াতের সড়কের বর্তমান বেহাল অবস্থায় আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা এই পথ ব্যবহার করেন। অথচ ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ এবং দূষণ তাদের চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ইউএনও মহোদয়ের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানানো হবে, যেন অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। আমরা চাই, এই এলাকাটি যেন পরিবেশবান্ধব, স্বাস্থ্যসম্মত এবং ভ্রমণপিপাসু ও এলাকাবাসীর চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়।”
এখন দেখার বিষয়, স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে পান্তশালাকে আবারও পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ করে তোলে কি না।