দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত

- আপডেট সময় : ০৯:১৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
- / 51

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরে পেয়েছে জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর আগে, উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ৪ জুন জামায়াতের নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইসি।
ইসির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করার পূর্বের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হলো এবং জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন দলীয় প্রতীকসহ পুনর্বহাল করা হলো।
৪ জুনের বৈঠকে নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ তখন সাংবাদিকদের জানান, “অতিসত্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের নিবন্ধন ফেরত পাবে, যা ইসি গ্রহণ করেছে। দলীয় প্রতীকের ক্ষেত্রে কিছু দাপ্তরিক প্রক্রিয়া রয়েছে, তাই সময় লাগবে।” জামায়াত ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক ফেরতের জন্য আবেদন করেছিল এবং ইসি বিষয়টি বিবেচনা করে ২০১৩ সালের ‘স্ট্যাটাসকো এনটে’ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশ্লিষ্ট ধারা বিবেচনায় নিয়েছে।
২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে নির্বাচন কমিশন জামায়াতকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করে। তবে ২০০৯ সালে ২৫ জন ওই নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে এবং আপিল করার অনুমতি দেন। ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট আপিল বিভাগ ওই রায় স্থগিতের আবেদন খারিজ করে দেন।
২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। দলটির আপিল ও লিভ টু আপিল ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর খারিজ হয়। পরে দেরিতে আবেদন পুনরুজ্জীবিত করে ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর আপিল বিভাগ তা মঞ্জুর করে।
তারপর জামায়াতের আপিল ও লিভ টু আপিল শুনানি হয়। ২০২৫ সালের ১ জুন আপিল বিভাগ জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরত দেওয়ার রায় দেন।
গত বছরের ১ আগস্ট সরকার জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করলেও ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার ওই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে।