হরমুজ প্রণালি বন্ধের পক্ষে ইরানের পার্লামেন্টের ভোট

- আপডেট সময় : ১১:৪২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
- / 29

যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালি বন্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ইরানের পার্লামেন্ট সদস্যরা। যদিও এটি এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়, বিষয়টি এখন যাবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বিবেচনায়। তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রেস টিভির বরাতে জানা গেছে, ইরানি পার্লামেন্ট সদস্য ও বিপ্লবী গার্ডের সাবেক কমান্ডার ইসমাইল কোসারি জানিয়েছেন, প্রস্তাবটি আলোচ্যসূচিতে রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে কার্যকর করা হবে।
৩৫-৬০ মাইল প্রশস্ত হরমুজ প্রণালি পারস্য উপসাগরকে আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে। এটি বৈশ্বিক জ্বালানি পরিবহনের জন্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ রুট—প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ব্যারেল তেল ও তেলজাত পণ্য এই পথ দিয়ে যায়, যা বিশ্ব সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ।
এছাড়া বিশ্বজুড়ে সরবরাহকৃত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ২০ শতাংশও এই রুট দিয়ে পরিবহিত হয়। ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমান এই প্রণালির চারপাশে প্রধান স্থলভূমি ভাগে রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি প্রণালিটি বন্ধ হয়, তাহলে হঠাৎ করেই বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে যাবে। এ অবস্থায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তেলনির্ভর দেশগুলো।
সৌদি আরব এই প্রণালি দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৬০ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে। দক্ষিণ কোরিয়া তাদের মোট তেল আমদানির ৬০ শতাংশই পায় এই পথ ধরে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিদিন গড়ে ৭ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ও ঘনীভূত হাইড্রোকার্বন আমদানি করে হরমুজ প্রণালি দিয়ে, যা তাদের মোট আমদানির ১১ শতাংশ। ইউরোপ তুলনামূলকভাবে কম নির্ভরশীল হলেও প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল তেল এই রুট হয়ে পৌঁছে সেখানে।
যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ করা হয়, তা হলে তা বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের ধাক্কা হয়ে উঠবে। জ্বালানি সংকটের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।