ঢাকা ১১:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুম কমিশনে ২৫৩ জনের অভিযোগ প্রমাণিত: মইনুল ইসলাম

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৩১:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / 42

গুম কমিশনে ২৫৩ জনের অভিযোগ প্রমাণিত: মইনুল ইসলাম

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গুম তদন্ত কমিশনে জমা দেওয়া ১,৮৫০টি অভিযোগের মধ্য থেকে ২৫৩টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।

কমিশনের সাবেক সভাপতি মইনুল ইসলাম বলেন, গুম হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মেধাবী শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন। এসব গুম ছিল পরিকল্পিত ও প্রাতিষ্ঠানিক।

তার ভাষায়, “বিগত সরকারের শাসনামলে ‘জঙ্গিবাদবিরোধী’ অভিযানের আড়ালে এই গুমের সংস্কৃতি চালু করা হয়েছিল। ইসলামি উগ্রবাদের আশঙ্কাকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন, আন্তর্জাতিক মহলের সহানুভূতি অর্জন ও ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করাই ছিল এই প্রক্রিয়ার মূল লক্ষ্য।”

তিনি আরও বলেন, “এটি ছিল না কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা, যেখানে দু-একজন কর্মকর্তা ভুল করেছেন। বরং এটি ছিল সুসংগঠিত দমনযন্ত্রের অংশ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা বাহিনীকে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণে এনে বিচারবহির্ভূত আটক ও নির্যাতনের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছিল।”

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এখনও নিখোঁজ থাকা ১২ জনের বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষ হয়েছে এবং কারা তাদের গুমে জড়িত তা শনাক্ত করা গেছে। তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট তথ্য এই মুহূর্তে প্রকাশ করা হয়নি।

মইনুল ইসলাম বলেন, “র‌্যাব গুমের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি জড়িত। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদেরও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে ভারতীয়দের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই, কিন্তু দেশের যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গুম কমিশনে ২৫৩ জনের অভিযোগ প্রমাণিত: মইনুল ইসলাম

আপডেট সময় : ০১:৩১:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

গুম তদন্ত কমিশনে জমা দেওয়া ১,৮৫০টি অভিযোগের মধ্য থেকে ২৫৩টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।

কমিশনের সাবেক সভাপতি মইনুল ইসলাম বলেন, গুম হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মেধাবী শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন। এসব গুম ছিল পরিকল্পিত ও প্রাতিষ্ঠানিক।

তার ভাষায়, “বিগত সরকারের শাসনামলে ‘জঙ্গিবাদবিরোধী’ অভিযানের আড়ালে এই গুমের সংস্কৃতি চালু করা হয়েছিল। ইসলামি উগ্রবাদের আশঙ্কাকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন, আন্তর্জাতিক মহলের সহানুভূতি অর্জন ও ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করাই ছিল এই প্রক্রিয়ার মূল লক্ষ্য।”

তিনি আরও বলেন, “এটি ছিল না কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা, যেখানে দু-একজন কর্মকর্তা ভুল করেছেন। বরং এটি ছিল সুসংগঠিত দমনযন্ত্রের অংশ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা বাহিনীকে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণে এনে বিচারবহির্ভূত আটক ও নির্যাতনের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছিল।”

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এখনও নিখোঁজ থাকা ১২ জনের বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষ হয়েছে এবং কারা তাদের গুমে জড়িত তা শনাক্ত করা গেছে। তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট তথ্য এই মুহূর্তে প্রকাশ করা হয়নি।

মইনুল ইসলাম বলেন, “র‌্যাব গুমের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি জড়িত। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদেরও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে ভারতীয়দের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই, কিন্তু দেশের যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”