ঢাকা ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি চায় নির্বাচনের মাধ্যমে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৫৬:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • / 57

আমিনুল হক

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন মানেই একটি উৎসবমুখর পরিবেশ—এ কথা উল্লেখ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, বিএনপি চায় উৎসবমুখর নির্বাচনী পরিবেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়িত হলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিপূর্ণ সংস্কার সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার বিকেলে পল্লবীর কালশী মোড়ে স্ট্যান্ডার্ড পিপলস জেনারেল রিহ্যাবিলিটেশন কমিটি (এসপিজিআরসি) কূর্মিটোলা শাখা ও উর্দুভাষী যুব ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে ২০১৪ সালের ১৪ জুন কালশীর উর্দুভাষীদের কূর্মিটোলা ক্যাম্পে সংঘটিত জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমিনুল হক বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে এ দেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করছে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। সেই কাঙ্ক্ষিত নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।”

তিনি আরও বলেন, “গত ১৭ বছর বাংলাদেশে যে স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিত ছিল—ভবিষ্যতে আমরা আর কোনো স্বৈরাচার দেখতে চাই না। আমরা চাই, বাংলাদেশি হিসেবে সকলে একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে। আমরা যেন স্বাধীনভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারি।”

২০১৪ সালের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে আমিনুল হক বলেন, “বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল—তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হবে।”

উর্দুভাষী বিহারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “গত ১৭ বছর বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনে একসঙ্গে কাজ করেছে। আপনারা সকলেই বাংলাদেশি নাগরিক। আমি আপনাদের আলাদা করে দেখি না। আপনারা আমার পরিবারের সদস্য। সুখে-দুঃখে আমি সবসময় আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব।”

শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে যারা আমাদের ভাই, ছাত্র এবং সাধারণ মানুষকে গুম, খুন করেছে—তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে বাংলাদেশের মাটিতেই বিচার করা হবে।”

হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পর নিহত ১০ জনের পরিবারের বেঁচে থাকা একমাত্র সদস্য ফারজানার ভরণপোষণের সকল দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক।

এসপিজিআরসি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এম শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এসপিজিআরসি কূর্মিটোলা শাখার সভাপতি সাদাকাত হোসেন ফাক্কু, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী বাবলু, সহসভাপতি মঈনুদ্দিন হোসেন মুন্না প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিএনপি চায় নির্বাচনের মাধ্যমে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক

আপডেট সময় : ১১:৫৬:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন মানেই একটি উৎসবমুখর পরিবেশ—এ কথা উল্লেখ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, বিএনপি চায় উৎসবমুখর নির্বাচনী পরিবেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়িত হলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিপূর্ণ সংস্কার সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার বিকেলে পল্লবীর কালশী মোড়ে স্ট্যান্ডার্ড পিপলস জেনারেল রিহ্যাবিলিটেশন কমিটি (এসপিজিআরসি) কূর্মিটোলা শাখা ও উর্দুভাষী যুব ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে ২০১৪ সালের ১৪ জুন কালশীর উর্দুভাষীদের কূর্মিটোলা ক্যাম্পে সংঘটিত জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমিনুল হক বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে এ দেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করছে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। সেই কাঙ্ক্ষিত নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।”

তিনি আরও বলেন, “গত ১৭ বছর বাংলাদেশে যে স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিত ছিল—ভবিষ্যতে আমরা আর কোনো স্বৈরাচার দেখতে চাই না। আমরা চাই, বাংলাদেশি হিসেবে সকলে একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে। আমরা যেন স্বাধীনভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারি।”

২০১৪ সালের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে আমিনুল হক বলেন, “বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল—তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হবে।”

উর্দুভাষী বিহারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “গত ১৭ বছর বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনে একসঙ্গে কাজ করেছে। আপনারা সকলেই বাংলাদেশি নাগরিক। আমি আপনাদের আলাদা করে দেখি না। আপনারা আমার পরিবারের সদস্য। সুখে-দুঃখে আমি সবসময় আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব।”

শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে যারা আমাদের ভাই, ছাত্র এবং সাধারণ মানুষকে গুম, খুন করেছে—তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে বাংলাদেশের মাটিতেই বিচার করা হবে।”

হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পর নিহত ১০ জনের পরিবারের বেঁচে থাকা একমাত্র সদস্য ফারজানার ভরণপোষণের সকল দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক।

এসপিজিআরসি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এম শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এসপিজিআরসি কূর্মিটোলা শাখার সভাপতি সাদাকাত হোসেন ফাক্কু, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী বাবলু, সহসভাপতি মঈনুদ্দিন হোসেন মুন্না প্রমুখ।