ঢাকা ১২:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তুষারের কুপ্রস্তাব নিয়ে শেখ ইমির ভাবনা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৫০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • / 204

তুষারের কুপ্রস্তাব নিয়ে শেখ ইমির ভাবনা

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের সঙ্গে এক নারীর কথোপকথন ফাঁস হওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক সদস্য শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি

মঙ্গলবার (১৭ জুন) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন এবং বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত মতামত দেন।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, সারোয়ার তুষারের ফোনালাপে একটা বিষয় পরিষ্কার—এই ঘনিষ্ঠতা একপাক্ষিক ছিল না। তবে ব্যক্তিগত আলাপচারিতা জনসম্মুখে আনা সমর্থনযোগ্য নয়। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?

এ প্রসঙ্গে তিনি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন:

১. অসততা: রাজনীতি বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষেত্র হওয়া উচিত। যোগ্যতার মানদণ্ডকে অশ্লীলতার জায়গায় নিয়ে যাওয়া একটি বিকৃত সংস্কৃতি। ক্ষমতার সুবিধাজনক অবস্থান থেকে যারা এসব সুযোগ নেয়, তাদের প্রতি আমার কোনো সম্মান নেই।

২. এপ্রোচ বা দৃষ্টিভঙ্গি: রাজনৈতিক অঙ্গনের নারীদের সহজলভ্য মনে করার প্রবণতা এবং ‘আলফা মেইল’দের পছন্দের তালিকায় জায়গা পেতে নারীদের অতিরিক্ত প্রয়াস—এই প্রবণতাই নারীদের নিজ দলের ভেতরেই অপমানিত করে। এটি বদলানো জরুরি।

৩. দলীয় অব্যবস্থা: এনসিপি নারী সংক্রান্ত ঘটনাগুলো যথাযথভাবে মোকাবিলা না করে প্রতিবার এড়িয়ে গেছে। সামান্তা শারমিনের সাম্প্রতিক উত্তর পূর্বের অবস্থানের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। যদি পরিবর্তিত পরিস্থিতি কারো নৈতিক অবস্থান দুর্বল করে দেয়, তাহলে তা সমগ্র ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

পরে তিনি আরও লেখেন, “আমি এ বিষয়ে কথা বলছি কারণ রাজনৈতিক অঙ্গনে নারীদের যে অপমানজনক ও অসম্মানজনকভাবে ট্রিট করা হয়, তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। নেতৃত্বের যোগ্যতা যদি চাটুকারিতা বা সুযোগ সন্ধানী হওয়ার ওপর নির্ভর করে, তাহলে আসল পরিবর্তন আসবে না—শুধু মানুষ বদলাবে, শোষণ বদলাবে না।”

পোস্টে তিনি সারোয়ার তুষারকে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের সহযোদ্ধা’ হিসেবে উল্লেখ করে তাকে নিয়ে তিনটি পর্যবেক্ষণ দেন। তবে পরবর্তীতে তিনি নিজের পোস্টের ৩ নম্বর পয়েন্টটি প্রত্যাহার করেন।

পরবর্তী এক পোস্টে ইমি লিখেছেন, “সারোয়ার তুষার সংক্রান্ত স্ক্রিনশট নিয়ে দেওয়া স্ট্যাটাসের ৩ নম্বর পয়েন্টটি আমি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। ভিকটিম আমাকে সরাসরি জানিয়েছেন, তিনি ঘটনার পর অনেককেই জানিয়েছিলেন কিন্তু কেউ তাকে সাহায্য করেনি। সুতরাং আজ ঘটনা ফাঁস হওয়ায় দায় তার ওপর চাপানো ঠিক নয়। তিনি যদি সত্যিই রিচ আউট করে থাকেন, আমি অন্তত তার পাশে থাকব— যদি আর কেউ না থাকে। আমার বক্তব্যের জন্য আমি তার কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তুষারের কুপ্রস্তাব নিয়ে শেখ ইমির ভাবনা

আপডেট সময় : ১০:৫০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের সঙ্গে এক নারীর কথোপকথন ফাঁস হওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক সদস্য শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি

মঙ্গলবার (১৭ জুন) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন এবং বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত মতামত দেন।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, সারোয়ার তুষারের ফোনালাপে একটা বিষয় পরিষ্কার—এই ঘনিষ্ঠতা একপাক্ষিক ছিল না। তবে ব্যক্তিগত আলাপচারিতা জনসম্মুখে আনা সমর্থনযোগ্য নয়। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?

এ প্রসঙ্গে তিনি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন:

১. অসততা: রাজনীতি বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষেত্র হওয়া উচিত। যোগ্যতার মানদণ্ডকে অশ্লীলতার জায়গায় নিয়ে যাওয়া একটি বিকৃত সংস্কৃতি। ক্ষমতার সুবিধাজনক অবস্থান থেকে যারা এসব সুযোগ নেয়, তাদের প্রতি আমার কোনো সম্মান নেই।

২. এপ্রোচ বা দৃষ্টিভঙ্গি: রাজনৈতিক অঙ্গনের নারীদের সহজলভ্য মনে করার প্রবণতা এবং ‘আলফা মেইল’দের পছন্দের তালিকায় জায়গা পেতে নারীদের অতিরিক্ত প্রয়াস—এই প্রবণতাই নারীদের নিজ দলের ভেতরেই অপমানিত করে। এটি বদলানো জরুরি।

৩. দলীয় অব্যবস্থা: এনসিপি নারী সংক্রান্ত ঘটনাগুলো যথাযথভাবে মোকাবিলা না করে প্রতিবার এড়িয়ে গেছে। সামান্তা শারমিনের সাম্প্রতিক উত্তর পূর্বের অবস্থানের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। যদি পরিবর্তিত পরিস্থিতি কারো নৈতিক অবস্থান দুর্বল করে দেয়, তাহলে তা সমগ্র ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

পরে তিনি আরও লেখেন, “আমি এ বিষয়ে কথা বলছি কারণ রাজনৈতিক অঙ্গনে নারীদের যে অপমানজনক ও অসম্মানজনকভাবে ট্রিট করা হয়, তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। নেতৃত্বের যোগ্যতা যদি চাটুকারিতা বা সুযোগ সন্ধানী হওয়ার ওপর নির্ভর করে, তাহলে আসল পরিবর্তন আসবে না—শুধু মানুষ বদলাবে, শোষণ বদলাবে না।”

পোস্টে তিনি সারোয়ার তুষারকে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের সহযোদ্ধা’ হিসেবে উল্লেখ করে তাকে নিয়ে তিনটি পর্যবেক্ষণ দেন। তবে পরবর্তীতে তিনি নিজের পোস্টের ৩ নম্বর পয়েন্টটি প্রত্যাহার করেন।

পরবর্তী এক পোস্টে ইমি লিখেছেন, “সারোয়ার তুষার সংক্রান্ত স্ক্রিনশট নিয়ে দেওয়া স্ট্যাটাসের ৩ নম্বর পয়েন্টটি আমি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। ভিকটিম আমাকে সরাসরি জানিয়েছেন, তিনি ঘটনার পর অনেককেই জানিয়েছিলেন কিন্তু কেউ তাকে সাহায্য করেনি। সুতরাং আজ ঘটনা ফাঁস হওয়ায় দায় তার ওপর চাপানো ঠিক নয়। তিনি যদি সত্যিই রিচ আউট করে থাকেন, আমি অন্তত তার পাশে থাকব— যদি আর কেউ না থাকে। আমার বক্তব্যের জন্য আমি তার কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।”