ঢাকা ১২:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্রেপ্তার এবং উদ্ধার

র‌্যাব পরিচয়ে রোহিঙ্গা অপহরণ করে গোপালগঞ্জের সুমন

নুরুল বশর, উখিয়া (কক্সবাজার)
  • আপডেট সময় : ১১:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
  • / 63

র‌্যাব পরিচয়ে রোহিঙ্গা অপহরণ করে গোপালগঞ্জের সুমন

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ থেকে র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ হওয়া রোহিঙ্গা যুবক হাফিজ উল্লাহকে তিনদিন পর গহীন পাহাড় থেকে জীবিত উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় অপহরণে জড়িত বরখাস্ত সেনা সদস্য মো. সুমন মুন্সিকে র‌্যাবের পোশাক, আগ্নেয়াস্ত্র ও ওয়াকিটকি সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

র‌্যাব-১৫ এর বরাতে জানা গেছে, গত ১১ জুন রাতে উখিয়ার ক্যাম্প-১৫ এর বাসিন্দা মো. রহিমুল্লাহর ছেলে হাফিজ উল্লাহকে তার ঘর থেকে অস্ত্রের মুখে তুলে নেয় তিনজন সশস্ত্র অপহরণকারী। তারা নিজেদের র‌্যাব সদস্য পরিচয় দেয়।

অপহরণের পর ভিকটিমের পরিবারের কাছে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। একইসঙ্গে হুমকি দেওয়া হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নিলে হত্যা করা হবে হাফিজ উল্লাহকে।

র‌্যাব জানায়, অপহরণের পরপরই গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয় এবং পরিবারকে সমন্বয়ের আওতায় রেখে অভিযান চালানো হয়। প্রথমে কুখ্যাত ডাকাত সর্দার শাহ আলমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় আফ্রিদি ও আব্দুল গফুরকে। এরপর মরিচা বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী, বরখাস্ত সেনা সদস্য মো. সুমন মুন্সিকে।

শনিবার (১৪ জুন) সকাল থেকে শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলে যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান। র‌্যাব, বিজিবি, এপিবিএন, পুলিশ ও বন বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত ২৫৬ সদস্যের একটি বিশাল দল উখিয়ার রঙ্গিখালীর গহীন অরণ্যে অভিযান চালিয়ে হাফিজ উল্লাহকে উদ্ধার করে।

অভিযানে একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, তিন রাউন্ড গুলি, র‌্যাবের পোশাক ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার সুমন মুন্সি (৩২) গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ডুমরাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অন্তত ১১টি মামলা রয়েছে।

র‌্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা হবে। এইসব এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সন্ত্রাস দমনে বড় পরিসরের অভিযান পরিকল্পনা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গ্রেপ্তার এবং উদ্ধার

র‌্যাব পরিচয়ে রোহিঙ্গা অপহরণ করে গোপালগঞ্জের সুমন

আপডেট সময় : ১১:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ থেকে র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ হওয়া রোহিঙ্গা যুবক হাফিজ উল্লাহকে তিনদিন পর গহীন পাহাড় থেকে জীবিত উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় অপহরণে জড়িত বরখাস্ত সেনা সদস্য মো. সুমন মুন্সিকে র‌্যাবের পোশাক, আগ্নেয়াস্ত্র ও ওয়াকিটকি সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

র‌্যাব-১৫ এর বরাতে জানা গেছে, গত ১১ জুন রাতে উখিয়ার ক্যাম্প-১৫ এর বাসিন্দা মো. রহিমুল্লাহর ছেলে হাফিজ উল্লাহকে তার ঘর থেকে অস্ত্রের মুখে তুলে নেয় তিনজন সশস্ত্র অপহরণকারী। তারা নিজেদের র‌্যাব সদস্য পরিচয় দেয়।

অপহরণের পর ভিকটিমের পরিবারের কাছে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। একইসঙ্গে হুমকি দেওয়া হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নিলে হত্যা করা হবে হাফিজ উল্লাহকে।

র‌্যাব জানায়, অপহরণের পরপরই গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয় এবং পরিবারকে সমন্বয়ের আওতায় রেখে অভিযান চালানো হয়। প্রথমে কুখ্যাত ডাকাত সর্দার শাহ আলমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় আফ্রিদি ও আব্দুল গফুরকে। এরপর মরিচা বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী, বরখাস্ত সেনা সদস্য মো. সুমন মুন্সিকে।

শনিবার (১৪ জুন) সকাল থেকে শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলে যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান। র‌্যাব, বিজিবি, এপিবিএন, পুলিশ ও বন বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত ২৫৬ সদস্যের একটি বিশাল দল উখিয়ার রঙ্গিখালীর গহীন অরণ্যে অভিযান চালিয়ে হাফিজ উল্লাহকে উদ্ধার করে।

অভিযানে একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, তিন রাউন্ড গুলি, র‌্যাবের পোশাক ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার সুমন মুন্সি (৩২) গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ডুমরাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অন্তত ১১টি মামলা রয়েছে।

র‌্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা হবে। এইসব এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সন্ত্রাস দমনে বড় পরিসরের অভিযান পরিকল্পনা রয়েছে।