ঢাকা ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদেশি ভিসা বন্ধের জন্য দায়ী আমরা নিজেরাই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:৩৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / 34

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিদেশি ভিসা নীতির কড়াকড়ির জন্য মূলত বাংলাদেশিদেরই দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

মঙ্গলবার (৩ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “বিভিন্ন দেশের ভিসা প্রক্রিয়ায় যে বিধিনিষেধ বা সতর্কতা দেখা যাচ্ছে, তার পেছনে অনেকাংশেই আমাদের নিজেদের কর্মকাণ্ড দায়ী। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে ভেতরে অনেক হোমওয়ার্ক করেছি। সিদ্ধান্তগুলো একেবারে অযৌক্তিক নয়।”

তিনি আরও বলেন, “বিশেষ করে যারা মানুষ বিদেশে পাঠান, তাদের অনেকের অনিয়মের কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে। অনেক ব্যবসায়ীও দায়ী। এ ক্ষেত্রে আমাদের জনগণের সচেতনতার অভাব এবং কিছু অসাধু চক্রের ভূমিকা স্পষ্ট।”

মালয়েশিয়ার প্রসঙ্গ টেনে উপদেষ্টা জানান, “ওখানে আমাদের প্রতি কোনো বিরূপ মনোভাব নেই। তবে সেখানেও দেখা গেছে, বৈধভাবে যাওয়া নেপালি শ্রমিকের সংখ্যা আমাদের তুলনায় বেশি। আর আমাদের দেশ থেকে যাওয়া অবৈধ শ্রমিকের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। এতে দোষ মালয়েশিয়ার নয়, বরং আমাদের।”

ব্যক্তিগত মতামত জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার কথা অনেকের ভালো নাও লাগতে পারে, তবে আমি বিশ্বাস করি, এই ইস্যুতে আমাদের ঘরদোর ঠিক করা জরুরি। নিজেরা পরিবর্তন না আনলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো অবস্থান নিশ্চিত করা কঠিন হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিদেশি ভিসা বন্ধের জন্য দায়ী আমরা নিজেরাই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ১২:৩৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

বিদেশি ভিসা নীতির কড়াকড়ির জন্য মূলত বাংলাদেশিদেরই দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

মঙ্গলবার (৩ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “বিভিন্ন দেশের ভিসা প্রক্রিয়ায় যে বিধিনিষেধ বা সতর্কতা দেখা যাচ্ছে, তার পেছনে অনেকাংশেই আমাদের নিজেদের কর্মকাণ্ড দায়ী। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে ভেতরে অনেক হোমওয়ার্ক করেছি। সিদ্ধান্তগুলো একেবারে অযৌক্তিক নয়।”

তিনি আরও বলেন, “বিশেষ করে যারা মানুষ বিদেশে পাঠান, তাদের অনেকের অনিয়মের কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে। অনেক ব্যবসায়ীও দায়ী। এ ক্ষেত্রে আমাদের জনগণের সচেতনতার অভাব এবং কিছু অসাধু চক্রের ভূমিকা স্পষ্ট।”

মালয়েশিয়ার প্রসঙ্গ টেনে উপদেষ্টা জানান, “ওখানে আমাদের প্রতি কোনো বিরূপ মনোভাব নেই। তবে সেখানেও দেখা গেছে, বৈধভাবে যাওয়া নেপালি শ্রমিকের সংখ্যা আমাদের তুলনায় বেশি। আর আমাদের দেশ থেকে যাওয়া অবৈধ শ্রমিকের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। এতে দোষ মালয়েশিয়ার নয়, বরং আমাদের।”

ব্যক্তিগত মতামত জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার কথা অনেকের ভালো নাও লাগতে পারে, তবে আমি বিশ্বাস করি, এই ইস্যুতে আমাদের ঘরদোর ঠিক করা জরুরি। নিজেরা পরিবর্তন না আনলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো অবস্থান নিশ্চিত করা কঠিন হবে।”